১৩ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করল পুলিশ

বনদফতরের গোপন অভিযানে এক চোরাশিকারি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ওই চোরাশিকারির কাছ থেকে ১৩ কেজি হরিণের মাংস সমেত বন্যপ্রাণী ধরার একটি ফাঁদও উদ্ধার করে মইপিঠ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃতের সঙ্গে জড়িতদের সন্ধান জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতের নাম, মনীন্দ্রনাথ দাস।

দক্ষিন ২৪ পরগনা: বনদফতরের গোপন অভিযানে এক চোরাশিকারি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ওই চোরাশিকারির কাছ থেকে ১৩ কেজি হরিণের মাংস সমেত বন্যপ্রাণী ধরার একটি ফাঁদও উদ্ধার করে মইপিঠ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃতের সঙ্গে জড়িতদের সন্ধান জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতের নাম, মনীন্দ্রনাথ দাস।

গত শুক্রবার রাতে ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালায় বনদফতর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মইপীঠ থানার পুলিশ। তল্লাশি করে ১৩ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেন তাঁরা। উদ্ধার করা হয় বন্যপ্রাণী ধরার জন্য একটি ফাঁদ। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মনীন্দ্রকে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত দু’দিন আগে ফাঁদ পেতে হরিণটিকে হত্যা করেছিল ওই চোরাশিকারি। জেলার ডিএফও জানান, এই হরিণ মারার ফাঁদে পড়ে একাধিক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে।

গত বছর এপ্রিল মাসে চোরাশিকারীদের দ্বারা একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপর থেকেই পুলিশ এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের তল্লাশি চালাচ্ছিল। তল্লাশির সময় বন দফতরের একাধিক আধিকারিকরা আক্রান্তও হয়েছেন। পুলিশের তল্লাশি চলাকালীন কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল কিন্তু চোরাশিকারিদের অপরাধ এরপরেও থেমে থাকেনি। কয়েকদিন আগেই কয়েকজন যুবকের দ্বারা গোরুমারায় একটি বাইসন হত্যা করে তার মাংস ভক্ষণ করার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল।

ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেছেন, এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, আজমলমারি ২ নম্বর কম্পার্টমেন্টের সামনে ফাঁদ পেতে দুদিন আগে হরিণটিকে মারা হয়েছিল। চোরাশিকারিদের রুখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন দফতর সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 17 =