দূষণ বাড়ছে দার্জিলিং-এ, শীঘ্রই ঢুকে পড়বে দেশের অতি দূষিত শহরের তালিকায়

দূষণ বাড়ছে দার্জিলিং-এ, শীঘ্রই ঢুকে পড়বে দেশের অতি দূষিত শহরের তালিকায়

কলকাতা: শুরু হয়ে গিয়েছে উল্টো গণনা৷ আর বড় জোর দু’বছর৷ তারপর শুধু রাজ্য নয়, দেশের অতি দূষিত শহরের তালিকায় ঢুকে পড়তে চলেছে শৈলনগরী দার্জিলিং! সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমনই উদ্বেগের তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী এক থেকে দু’বছরের মধ্যেই রাজ্যের সপ্তম এবং দেশের ১৩২তম অতি দূষিত শহর হিসাবে উঠে আসবে দার্জিলিং-এর নাম।

কোনও শহরের বাতাসের নাম ন্যূনতম পাঁচ বছর কেন্দ্র নির্ধারিত বায়ুমানের মাপকাঠি পূরণে ব্যর্থ হলে সেই শহরকে অতি দূষিত বলা হয়। সম্প্রতি ‘অ্যাটমোস্ফিয়ারিক এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক একটি জার্নালে কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডঃ অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক মনামি দত্ত এবং কানপুর আইআইটির ডঃ অভিনন্দন ঘোষের একটি যৌথ গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই দার্জিলিং প্রসঙ্গে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ছয় শহর- আসানসোল, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, কলকাতা, হাওড়া, হলদিয়া এবং বারাকপুরে বায়ুদূষণের মাত্রা ভারতীয় মানের চেয়ে অনেক বেশি। ২০০৯ থেকে ২০২১-এই সময়সীমা ধরে সাম্প্রতিক গবেষণাটি করা হয়েছে। যেখানে দার্জিলিংয়ের বাতাসে পিএম-১০ (ধুলো এবং ধোঁয়ার অতি ক্ষুদ্র দূষক কণা)-এর উপস্থিতির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ মার্চ-মে মাস এবং শীতকাল, ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে দার্জিলিংয়ের বাতাসে পিএম ১০-এর ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৭০ মাইক্রোগ্রাম ছাড়িয়ে গিয়েছে। যেখানে ভারতীয় মান হল প্রতি ঘনমিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম। শৈলশহরের বাতাসে এই অতি সূক্ষ্ম দূষক কণার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ২০১৪ সাল থেকেই পিএম-১০ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে৷  এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলেস অচিরেই দূষিত শহর হিসাবে উঠে আসবে ‘পাহাড়ের রানি’র নাম৷