শক্তিগড়: শক্তিগড়ে খাবারের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশের কনভয়৷ চারিদিকে পুলিশে ছয়লাপ৷ একটি খাবারের দোকানে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ঢোকেন তারা৷ কিন্তু যেই টেবিলে বসে অনুব্রত প্রাতরাশ সারলেন, সেই টেবিলে দেখা গেল তিন রহস্যময় ব্যক্তির উপস্থিতি৷ কারা তাঁরা?
আরও পড়ুন- আই ফোন খুইয়ে হলেন বাড়ি ছাড়া, কেন নিজের গ্রাম ছেড়ে শহরবাসী ভুবন বাদ্যকর?
তিন রহস্যময় ব্যক্তিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই জানা গেল, এদিন সকালে অনুব্রতের টেবিলে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে সবুজ পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তির নাম কৃপাময় ঘোষ। যিনি অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। প্রথমে যদিও ওই ব্যক্তি নিজেকে দোকানের খদ্দের হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। ফাঁস হয়ে যায় তাঁর আসল পরিচয়৷ গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার সায়গল হোসেনের মতো তিনিও কেষ্টর ‘ছায়াসঙ্গী’।
আর টি-শার্টি পরা ব্যক্তিটি হলেন তুফান মিদ্দা। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গাড়িচালক। সেই সূত্রের ধরেই ডব্লু৪১এইচ০০৭— এই নম্বরের গাড়ি চেপে অনুব্রতর পিছু পিছু ওই তিন ব্যক্তি শক্তিগড়ে এসে পৌঁছান। ডব্লু৪১এইচ০০৭ নম্বরের গাড়িটি আবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটের বলে সূত্রের দাবি। গরু পাচার মামলায় কেষ্টকে গ্রেফতার করার পর মলয় পিটকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জানা যায়, গত এক দশকে পিটের উত্থান হয় উল্কার গতিতে৷ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই অন্যান্য রাজ্যেও মলয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে একেবারে শান্তিনিকেতনে। অনুব্রতকে নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে আবারও উঠে এল মলয়ের নাম।
তবে কড়া পুলিশি পাহাড়ায় আসানসোল জেল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যাওয়া অনুব্রতর সঙ্গে কী ভাবে ওই তিন ব্যক্তি দেখা করলেন, কী ভাবে তাঁর সঙ্গে আধ ঘণ্টার মতো কথা বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ শুধু কথা বলাই নয়, এক টেবিলে বসেই প্রাতরাশ সারেন তাঁরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>