ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মিদের বেতন কাটার প্রক্রিয়া শুরু, পাঠানো হচ্ছে দূরের জেলাতেও

ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মিদের বেতন কাটার প্রক্রিয়া শুরু, পাঠানো হচ্ছে দূরের জেলাতেও

কলকাতা: ডিএ ধর্মঘট নিয়ে আগেই সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক করেছিল নবান্ন। গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের দিন যে সকল কর্মচারী দফতরে অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বেতন কাটার প্রক্রিয়া শুরু করা হল। শো-কজের উত্তর দেওয়ার পরই কর্মীদের বেতন কাটার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাস্তি এখানেই শেষ নয়৷ নবান্ন থেকে ৬ জন আন্দোলনকারী কর্মীকে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন  ব্লক অফিসে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তরফে অবিলম্বে তাঁদের নতুন কাজের জায়গায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কর্মীরা স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতর, অর্থ দপ্তফতর ও ভূমিদফতরের সচিবালয় অফিসে আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট ও হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে৷   

আরও পড়ুন- পর্ষদের শোকজ চিঠি গেল মৃত শিক্ষকের কাছে! ধর্মঘটের দিন নাকি স্কুলে অনুপস্থিত

কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, এই ৬ সরকারি কর্মী ১০ তারিখের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন। আগামী দিনে আরও কর্মীকে বদলি করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা। তবে এমনটা প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে অনেক সরকারি কর্মীকেই কলকাতায় সচিবালয়ের বিভিন্ন অফিস থেকে দূরের জেলায় বদলি করা হয়। বদলি হওয়া কর্মীদের মধ্যে শুধু কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহস্যই নন, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের কয়েকজন নেতার নামও রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, সচিবালয় থেকে জেলার অফিসে ‘ডিটেইলমেন্ট’ বদলির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কোনও কারণ দর্শানো হয় না। অন্যদিকে জেলার ব্লক অফিসে আগে বদলি হওয়া চারজন কর্মীকে এই দফায় সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মীদের বেতন কাটার প্রক্রিয়া দুই মাস ধরে চলতে পারে।