২২ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ! ‘ছেড়ে দেব’, বাংলো খালির নির্দেশে পাল্টা জবাব রাহুলের

২২ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ! ‘ছেড়ে দেব’, বাংলো খালির নির্দেশে পাল্টা জবাব রাহুলের

নয়াদিল্লি: মানহানি মামলায় আদালত তাঁকে সাজা শোনাতেই খোয়া গিয়েছে সাংসদ পদ৷ ছাড়তে হবে সরকারি বাংলো৷ আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে তুঘলক রোডের বাংলো ছাড়তে হবে বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে৷ ছেড়ে দেবন, সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস পেয়ে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সরকারি আদেশের মান্যতা রাখবেন বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ।

আরও পড়ুন- ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জরুরি’, রাহুলকাণ্ডে নজর রাখছে আমেরিকা’, জানালেন বাইডেনের মুখপাত্র

রাহুল গান্ধীর বাংলো খালি করার নির্দেশ নিয়ে কংগ্রেস নেতা নাসির হোসেন বলেন, “ওদের বোঝা উচিত রাহুল গান্ধীর বিশেষ সুরক্ষা রয়েছে। বাড়ি খোঁজার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। তিনি চিঠি লিখুন বা না লিখুন, পদক্ষেপ করার পরেই পরবর্তী ঘটনা জানা যাবে।” 

লোকসভার হাউজিং কমিটির নোটিস পাওয়ার পরই পাল্টা চিঠি পাঠান রাহুল৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের ইচ্ছায় চার বার সাংসদ হওয়ার সুবাদে আমি এই বাসভবনে ভাল সময় কাটিয়েছি। এখানে আমার অনেক সুখের স্মৃতিও তৈরি হয়েছে। আমার অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করে আমি চিঠিতে উল্লেখিত নির্দেশ মেনে নেব।’’

প্রসঙ্গত, সোমবারই ওয়ানাড়ের প্রাক্তন সাংসদকে চিঠি পাঠিয়ে এক মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো খালি করে দেওয়ার নোটিস দেয় লোকসভার হাউজিং কমিটি। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ পদে রয়েছেন রাহুল। নিয়ম মেনেই দিল্লিতের ১২ তুঘলক লেনে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০০৫ থেকে তিনি ওই বাংলোর বাসিন্দা ছিলেন৷ 

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ‘মোদী’ পদবী নিয়ে তির্যক মন্তব্যের জেরে তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা দেয় সুরাত জেলা আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই গত ২৩ মার্চ তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার। আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন ওম বিড়লা৷