নিজস্ব প্রতিনিধি: গত লোকসভা নির্বাচনে আমেথি কেন্দ্রে হেরে গেলেও কেরলের ওয়েনাড়ে জিতে সাংসদ পদ রক্ষা করতে পেরেছিলেন রাহুল গান্ধী। অর্থাৎ তাঁর সম্মান বাঁচিয়েছিল ওয়েনাড়। গত লোকসভা নির্বাচনে কেরলের ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতেই জয় পেয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। রাহুল বিপুল মার্জিনে জিতেছিলেন ওয়েনাড় কেন্দ্রে। এবার তিনি ওয়েনাড়ের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকেও ভোটে লড়ছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দুটি কেন্দ্র থেকেই জিতলে রাহুল সম্ভবত ওয়েনাড় আসনটিকে ধরে রাখবেন। সেক্ষেত্রে রায়বেরিলি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলে সেখান থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কেন এরকম ভাবনাচিন্তা করছে রাহুল তথা কংগ্রেস?
ঘটনা হল গতবার ওয়েনাড় কেন্দ্র রাহুলের মুখরক্ষা করেছে। এবারেও সেখানে বড় ব্যবধানে জয়ের আশা করছেন তিনি। তাই ওয়েনাড় কেন্দ্র ছেড়ে সেখানকার ভোটারদের সঙ্গে অবিচার করতে চান না রাহুল। এতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবচেয়ে বড় কথা এখনও পর্যন্ত বিজেপি দেশ জুড়ে প্রবল শক্তিশালী হলেও দক্ষিণ ভারতে তাদের দাপট বাড়তে পারেনি। কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার বিশেষ কিছু অঞ্চল ছাড়া দক্ষিণ ভারতে বিজেপি একেবারেই সুবিধা করতে পারছে না। অন্যদিকে কংগ্রেস আবার মুছে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে।
কিন্তু গোটা দক্ষিণ ভারতকে কংগ্রেস যদি বেশি করে ফোকাস করতে পারে তা আগামী দিনে অন্ধ্রপ্রদেশ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে হাইকমান্ড মনে করে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস প্রচার করতে পারবে তারা দক্ষিণ ভারতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় কেন্দ্র ধরে রাখলেন। উল্লেখ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ হয়ে তেলেঙ্গানা তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত সেই রাজ্যে বরাবরই কংগ্রেস প্রবল শক্তিশালী ছিল। তাই আগামী দিনে এই রাজ্যে আবার প্রাসঙ্গিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের আশা এবার কর্ণাটকেও তাদের ফল গতবারের থেকে ভাল হবে। অর্থাৎ দক্ষিণ ভারত থেকে যতটা সম্ভব বেশি আসন পেয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে মোটামুটি একটা জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করছে হাত শিবির। এই সমস্ত কারণে রাহুল গান্ধী রায়বেরিলিতে জিতলেও সেটি ছেড়ে ওয়েনাড় কেন্দ্র ধরে রাখবেন বলেই কংগ্রেস সূত্রে খবর।