চণ্ডীপুর: এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য৷ সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই তালিকায় নাম ছিল টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া (৩০) নামে এক শিক্ষিকার৷ রবিবার সন্ধ্যায় চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ৷
আরও পড়ুন- ‘লিখে রাখুন নন্দীগ্রামে আবার ভোট হবে’,শুভেন্দুকে ‘আরএসি’ বলে বিঁধলেন অভিষেক
টুম্পারানি মণ্ডল নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। এ দিন সন্ধ্যায় তাঁর দেহ উদ্ধারের পরই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন টুম্পারানি। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের ওই হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসাবে তিনি যোগ দেন। চণ্ডীপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার টুম্পারানির আত্মীয়। তিনি জানান, হাই কোর্টের নির্দেশে নবম-দশমের ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের একটি তালিকা কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ওই তালিকায় টুম্পারানিরও নাম ছিল। অযোগ্যদের তালিকায় নিজের নাম দেখার পরই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। শনিবার স্কুলেও যাননি। রবিবার সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে৷
টুম্পারানি চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামের মেয়ে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এর পর থেকে চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন সরিপুর গ্রামের ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। রবিবার বিকেলে চণ্ডীপুর বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন সুবীর। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন টুম্পারানি৷ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বারবার ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থার দেখেন টুম্পারানিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>