অবসরের আগে অন্য মেজাজে লন্ডনের রাস্তায় ফেডেরার

অবসরের আগে অন্য মেজাজে লন্ডনের রাস্তায় ফেডেরার

লন্ডন:  টেনিসকে আলবিদা জানাতে চলছে রজার ফেডেরার৷ আনুষ্ঠানিকভাবে সে কথা ঘোষণাও করে দিয়েছেন  টেনিস তারকা৷ লন্ডনে অনুষ্ঠিত লেভার কাপই হবে তাঁর জীবনের শেষ প্রতিযোগিতা৷ ইতিমধ্যেই লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছেন রজার। আর সেখানে পৌঁছে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। ঘুরে বেরালেন লন্ডনের রাস্তায়৷

আরও পড়ুন- হরমনপ্রীতের দুরন্ত সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের মাটিতে ২৩ বছর পর সিরিজ জয় ভারতের

তবে শুধু রজার ফেডেরারই নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারেরাও। সবাই মিলে জমিয়ে মজা করলেন লন্ডনের রাস্তায়৷ গল্পে মাতলেন টেনিস তারকারা। যদিও মধ্যমণি ছিলেন ফেডেরারই। এদিন বিখ্যাত লন্ডন ব্রিজের সামনে দেখা যায় ফেডেরার, জোকোভিচ ও মারেকে। একসঙ্গে তিন তারকাকে দেখতে ভিড় জমান ভক্তরা। হাসি মুখে সকলের আবদারও মেটান তাঁরা।

অন্যদিকে, লন্ডনের বিখ্যাত অট্টালিকা ‘দ্য শার্ড’-এর সঙ্গেও মারের পরিচিয় করিয়ে দেন ফেডেরার৷ জানন এই বিখ্যাত অট্টালিকার ইতিহাস৷ এ সব দেখে হেসে ফেলেন জোকোভিচ৷ তিনি বলেন, ‘‘ফেডেরার তোমাকে লন্ডন চেনাচ্ছে অ্যান্ডি।’’ 

এদিন তিন টেনিস তারকার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন ফ্রান্সেস টিয়াফো, ক্যাসপার রুডের মতো তরুণ টেনিস খেলোয়াড়রাও। টেনিসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে কাছে পেয়ে উৎফুল্ল তাঁরাও৷ তরুণদের নিরাশ করেননি ফেডেরারও। তাঁদের সঙ্গেও সময় কটান তিনি৷ লন্ডন ব্রিজকে সক্ষী রেখে একসঙ্গে তুলেছেন গুচ্ছ সেলফি। এর মধ্যে তাঁর একটি নিজস্বী নেটপাড়ায় ভাইরাল৷ 

লেভার কাপে রাফায়েল নাদালের সঙ্গে জুটি বেঁধে কোর্টে নামবেন রজার ফেডেরার। একদা নিজের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষকেই শেষ লড়াইয়ের সঙ্গী করেছেন তিনি। লেভার কাপে তাঁর টেনিস জীবনের শেষ প্রতিযোগিতা হলেও একে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না ফেডেরার। প্রতিযোগিতার আগে রীতিমতো ঘাম ঝরান৷ অনুশীলনে ফেডেরারের সঙ্গে ছিলেন মারে আর জোকোভিচও৷ কঠোর অনুশীলন চলার মাঝেই চলছিল হাসি, ঠাট্টা, মজা৷ সঙ্গে টপাটপ উঠছিল ছবি৷ 

মাত্র আট বছর বয়সে টেনিসের ব়্যাকেট হাতে তুলে নিয়েছিলেন ফেডেরারের। কোচ পিটার কার্টার কিশোর রজারকে দেখে বলেছিলেন, এই ছেলে এক দিন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হবে। কোচের সেই কথা মিলে গিয়ছে। মোট ৩১০ সপ্তাহ এক নম্বর র্যা ঙ্কিংয়ে  থেকেছেন তিনি। তার মধ্যে ২৩৭ সপ্তাহ ধরে টানা প্রথম স্থানে ছিলেন। সেই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেননি। তবে ২৪ বছরের পেশাদারি টেনিসকে এবার বিদায় জানানোর পালা৷