কলকাতা: দেড় দশকের পুরনো ধর্ষণের মামলায় শনিবার গ্রেফতার করা হয় সাগরদিঘির কংগ্রেসকর্মী সাইদুর রহমানকে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল বাঁধে। বাম-কংগ্রেসের থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পুলিশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের আগে সাইদুরকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে৷ বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, সপ্তাহে তিন দিন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে এই কংগ্রেসকর্মীকে।
আরও পড়ুন- একসঙ্গে ৮৮ জন গ্রেফতার কেন? নওশাদদের পাকড়াও নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ
এদিন রাজ্যের তরফে সাইদুর রহমানের জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল৷ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পক্ষে সওয়ালও করা হয়। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী পাল্টা বলেন, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে৷ কারণ অফিসার হিসেবে তিনি এখনও পূর্ণ দায়িত্বভার পাননি। এদিকে, অভিযোগকারীর আইনজীবীর দাবি, বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁর মক্কেলকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। তবে যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ, তারপরই অভিযোগকারী মহিলার বিয়ে হয়। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাইদুরকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ চাইছে উপনির্বাচনের আগে এভাবে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>