কলকাতা: কালীঘাটের বাড়িতে আজ দুপুরে বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দুপুর দেড়টা থেকেই আসতে শুরু করেন নেতানেত্রীরা৷ দুপুর তখন সওয়া দুটো হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি গাড়ি এসে থামল৷ দারজা খুলে যিনি নামলেন, তাঁকে দেখে অনেকেই তখন বিস্মিত! অবিকল দিদির সাজ৷ কে উনি? খানিক পরে বোঝা গেল তিনি আর কেউ নন, তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।
আরও পড়ুন-শুনানির পর রায়দান স্থগিত, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ধোঁয়াশা যাচ্ছেই না
এদিন একেবারে অবিকল মুখ্যমন্ত্রী সাজে কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে হাজির হন যুবনেত্রী। নীল পাড়ের সাদা খোলের শাড়ি, পায়ে সাজা হাওয়াই চটি৷ তবে দিদির মতো অত সরু পাড় নয়। একটু চওড়া পাড়েন শাড়ি পরে আসেন সায়নী। উর্ধ্বাঙ্গে গাঢ় নীল রঙের থ্রি কোয়ার্টার স্লিভ ব্লাউজ। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন৷
শুধু দিদির মতো শাড়িই নয়, এদিন একেবারে তাঁর মতোই সাদা হাওয়াই চটিও পায়ে গলান সায়নী। তবে চুল ছিল তাঁর নিজস্ব স্টাইলে বাঁধা৷ মাথার উপর ঝুঁটি৷ চোখের রোদ চশমা মাথার উপর তোলা৷ মুখে কালো মাস্ক।
নীল-সাদা যে দিদির প্রিয় রং, তা কারও অজানা নয়৷ তবে দলের অন্দরে এভাবে দিদির অনুকরণ সম্ভবত এই প্রথম৷ তাঁর মতো শাড়ি-চটি পড়ার ঝোঁক এতদিন তৃণমূলে সে ভাবে নজরে আসেনি। দলের তারকা হোক কিংবা আদ্যন্ত রাজনীতিক সাংসদ-বিধায়ক বা নেত্রী, কেউই তা করেননি। দেখতে গেলে সায়নী তৃণমূলে নবীন। একুশের ভোটের আগে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে টিকিও পান সায়নী৷ কিন্তু, বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাথে পরাজিত হয়৷ ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁকে দলের যুবনেত্রী ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সায়নীর পোশাক নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু, দিদি নিজে এই বিষয়টা কতটা পছন্দ করেন বা আদৌ পছন্দ করেন কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>