কলকাতা: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির অফিসাররা হেনস্থা করতে তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা জজের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, জেলা জজের কাছে নিজের অভিযোগ জানাতে পারবেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল। একই সঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকার যে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই জরিমানার উপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম বলার জন্য চাপ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর ঠিক পরেই জেলবন্দি কুন্তল দাবি করেন, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল ঘোষ। এই বিষয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি৷ কলকাতার হেস্টিংস থানা চিঠিও পাঠান। চিঠি সংক্রান্ত মামলাটি আদালতে উঠলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে ইডি ও সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। পরে অই মামলা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সরলে, তিনিও সেই একই নির্দেশ বহাল রাখেন। তার পরেই অভিষেককে তলব করেছিল সিবিআই। কলকাতায় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে ডেকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাঁকে। পরে তৃণমূল সাংসদকে তলব করে ইডি। যদিও অভিষেক হাজিরা দেননি। পরে এই সংক্রান্ত মামলায় কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ।