আমার কোনও ধর্ম-বর্ণ নেই! জাতপাতের বিরুদ্ধে সরকারি স্বীকৃতি মহিলার

অবশেষে খোদ তামিলনাড়ু সরকার সনদ পাঠিয়ে জানিয়ে দেন স্নেহা এই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন। সরকারি স্বীকৃতিতে তাঁর একমাত্র পরিচয় তিনি ভারতীয়। কোনও জাত বা কোনও ধর্ম দিয়ে স্নেহার পরিচয় করা যাবেনা। এ যেন এক নিঃশব্দ বিপ্লব।

তামিলনাড়ু: পেশায় আইনজীবী৷ নাম তাঁর স্নেহা পার্থিবরাজ৷ তামিলনাড়ুর তিরুপাত্তুর এলাকার বাসিন্দা৷ বর্তমানে ভারতের প্রথম ধর্ম-বর্ণহীন মহিলা হিসেবা পেয়েছেন সরকারি স্বীকৃতি৷ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর স্নেহাকে এই স্বীকৃতি দিয়েছেন খোদ তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে৷

ভাবছেন এও আবার হয় নাকি! ভারতের মতো ধর্ম-বর্ণের দেশে এটা কি সম্ভব! হ্যাঁ, এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন এই মহিলা। ছোট থেকেই বিভিন্ন ফর্ম পূরণের সময় ধর্ম ও বর্ণের জায়গাগুলিকে স্নেহা খালি রেখে দিতেন৷ অনেককেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হত তাঁকে৷ এরপর ২০১০ সাল থেকে স্নেহা আইনি লড়াই শুরু করেন৷ পাশে পেয়েছিলেন স্বামী পার্থিবরাজকে৷

 

দীর্ঘ লড়াই চালান পেশায় আইনজীবী স্নেহা৷ অবশেষে খোদ তামিলনাড়ু সরকার সমন পাঠিয়ে জানিয়ে দেন স্নেহা এই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন। সরকারি স্বীকৃতিতে তাঁর একমাত্র পরিচয় তিনি ভারতীয়৷ কোনও জাত বা কোনও ধর্ম দিয়ে স্নেহার পরিচয় করা যাবে না৷  এ যেন এক নিঃশব্দ বিপ্লব৷ স্নেহা এবার থেকে গর্বের সঙ্গে নিজেকে একজন ধর্ম-বর্ণহীন মানুষ হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =