২১ হাজার পদে নিয়োগ দুর্নীতি! দাবি CBI-এর, বিচারপতি বললেন, ‘কাউকে ছাড়া হবে না’

২১ হাজার পদে নিয়োগ দুর্নীতি! দাবি CBI-এর, বিচারপতি বললেন, ‘কাউকে ছাড়া হবে না’

কলকাতা: পরতে পরতে দুর্নীতি৷ এখনও পর্যন্ত ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে৷ বিকৃত করা হয়েছে ৯ হাজার ওএমআর শিট৷ মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, নিয়োগের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি হয়েছে! হাইকোর্টে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এমনই দাবি করলেন সিবিআই-এর সিট প্রধান৷ 

আরও পড়ুন- এবার সিঙ্গেল পুরুষরাও পাবেন ‘স্বাস্থ্যসাথী’, নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

গাজিয়াবাদ থেকে হার্ডডিস্ক উদ্ধারের পর ওএমআর শিটের বিষয়টি সামনে আসে৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রথমে ভাবা হয়েছিল মেধাতালিকায় গোলমাল রয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় দুর্নীতি আরও অনেক বড়! এই সব নথি এসএসসি-কে দেখানো হয়েছে বলেও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়। ‘‘সমস্ত নথি এসএসসি-কে দেওয়া হয়েছে৷ এখন তাদের ঠিক করতে হবে, তারা কী ভাবে ত্রুটি সংশোধন করবে’’- আদালতে সওয়াল করেন সিট প্রধান শেনভি৷  কিন্তু,  বাংলার স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওমএমআর শিট সংক্রান্ত হার্ড ডিস্ক কীভাবে গাজিয়াবাদে পৌঁছল, তা বড় বিস্ময়৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ ব্যাপারে আরও গভীর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷

এদিন সিট প্রধানের চাঞ্চল্যকর দাবি শোনার পর এসএসসি-র উদ্দেশে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন৷ যা যা সাহায্য লাগে আদালত করবে৷ এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি অবাক হচ্ছি। তদন্তে আপনার যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন। আদালত সব রকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’

বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, ‘এই দুর্নীতির তদন্তে বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বলেন, যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা শুধু ফলের আশায় বসে আছেন৷ তাঁরা জানতে চান না স্কুল সার্ভিস কমিশন বা সিবিআই কী করল৷ তাঁরা চায় নিয়োগপত্র৷’ 

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। সেই চার্জশিটে বলা হয়েছিল, অপটিকাল মার্ক রেকগনিশন তথা ওএমআর শিট বিকৃত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং সুবীরেশ ভট্টাচার্য সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলেও জানানো হয়৷ 

গত সপ্তাহে হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৮৩ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করে। তার পর আরও ৪০ জন অযোগ্যের হদিস মেলে৷  সেক্ষেত্রেও ওমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।