কলকাতা: লিঙ্গ পরিবর্তন করে ‘সুচেতন’ হতে চান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্য৷ উদ্দেশ্য পূরণে ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের জন্য তিনি পৌঁছে গিয়েছেন মনোবিদের সঙ্গেও।
সম্প্রতি একটি ‘এলজিবিটিকিউ’ কর্মশালায় অংশ নিতে দেখা যায় বুদ্ধদেব-কন্যাকে। সেই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় সুচেতনা সম্পর্কে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন। ‘গৌরব মাসের গল্প’ শিরোনামের ওই পোস্টের সবচনাতেই তিনি লিখেছেন, ‘সুচেতনা আজ থেকে সুচেতন’। সেই পোস্টে বলা হয়েছে, সুচেতনার বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। মা মীরা ভট্টাচার্যের সম্প্রতি পেসমেকার বসেছে।
সুচেতনা বলেন, ‘‘আমার বাবা-মায়ের পরিচয় বা পারিবারিক পরিচয়টা বড় কথা নয়। আমি এটা করছি আমার এলজিবিটিকিউ+ আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে। একজন ট্রান্সম্যান হিসেবে প্রতি দিন আমায় যে সামাজিক হেনস্থা সহ্য করতে হয়, সেটা আমি বন্ধ করতে চাই। আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমার বয়স এখন ৪১ প্লাস। ফলে আমি আমার জীবন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এই সিদ্ধান্তও আঐমি নিজেই নিচ্ছি। দয়া করে আমার বাবা-মাকে এর মধ্যে টেনে আনবেন না। এখন নিজেকে যিনি মানসিক ভাবে পুরুষ মনে করেন, তিনিও পুরুষ। যেমন আমি। আমি নিজেকে মানসিক ভাবে পুরুষ বলেই মনে করি। আমি এখন সেটা শারীরিক ভাবেও হতে চাই।’’
এই বিষয়টি কি বুদ্ধদেববাবু জানেন? সুচেতনা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন তাঁর বাবা৷ এবং তিনি বিষয়টিতে সমর্থনও করেছেন৷ সুচেতনার এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ বলে মনে করছেন সমাজের একটি অংশ। তাঁদের বক্তব্য, সুচেতনার মতো একজন মানুষ যদি এই সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে এলজিবিটিকিউ+ আন্দোলনে গতি আসবে। সুচেতনা নিজেও বলছেন, ‘‘আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর জন্য লড়ে যাব। সেই সাহসটা আমার আছে। কে কী বললেন, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি সকলের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>