কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার উঠে এল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ৷ তাঁর সঙ্গে জড়িত তিনটি সংস্থার বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল ইডি। এ বার ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে যুক্ত ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান পেল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সূত্রে খবর, সুজয়ের সবকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলাশ করে নিয়োগ মামলার আরও গভীরে পৌঁছানো সম্ভব৷ উঠে আসতে পারে আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক৷ ইতিমধ্যেই এই সমস্ত তথ্য ঘেঁটে সুজয়ের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য ইডির হাতে উঠে এসেছে বলেই খবর৷
গত ৩০ মে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন ‘কালীঘাটের কাকু’৷ এক সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি দফতরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজয়৷ ঘটনাপ্রবাহে তিনিই নিয়োগ মামলার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসাবে উঠে আসেন৷ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আর্থিক লেনদেন ছিল ইডির আতস কাঁচে৷ তদন্তে নেমে ইডির কাছে স্পষ্ট যে, কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে এক দিকে যেমন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের যোগ ছিল, তেমনই তৃণমূলের দুই বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। সুজয় নিজেই ইডি-কে জানিয়েছিলেন যে, শান্তনু যখন ব্যবসা শুরু করেন, তখন তাঁর টাকার প্রয়োজন পড়ে৷ সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সংস্থা থেকে মোটা টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তীতি সেই টাকা বা সম্পত্তি কোনওটিই হাতে পাননি বলে দাবি করেন। এদিকে, কুন্তলও ‘কালীঘাটের কাকু’র থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য নেওয়ার কথা জানিয়েছিসেন ইডি-কে৷ সেই সঙ্গে কুন্তল এও জানিয়েছিলেন, ওই টাকা তিনি ধার হিসাবে নিয়েছিলেন এবং পরে তা শোধ করে দেন। এই সমস্ত তথ্য হাতে আসার পরই সুজয়ের আর্থিক লেনদেনের উপর কড়া নজর দেয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, সুজয়ের প্যানকার্ড এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। মনে করা হচ্ছে, এই ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যুক্ত আরও অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলবে৷