বিধানসভা ভোটে মমতার ‘বিরুদ্ধে’ ভবানীপুরে লড়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’! পেয়েছিলেন ৮০৯ ভোট

বিধানসভা ভোটে মমতার ‘বিরুদ্ধে’ ভবানীপুরে লড়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’! পেয়েছিলেন ৮০৯ ভোট

 কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির জট যত খুলছে, ততই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম৷  তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ‘কালীঘাটের কাকু’৷ কে তিনি? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই জানা গেল,তাঁর আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কুন্তল থেকে তাপস, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের মুখে উঠে এসেছে তাঁর নাম৷ এর পর থেকেই তাঁকে নিয়ে কৌতূহল বাড়তে শুরু করে। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে৷ সেই আবহেই জানা গেল, বেহালার বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন ভবানীপুর থেকে। তাও আবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে!

আরও পড়ুন- অ্যাডিনো নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর প্রতিপত্তির সামনে কোনও দাগ কাটতে পারেননি সুজয়। এর পর রাজনীতির আঙিনা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় তাঁর নাম। অধুনা ‘কালীঘাটের কাকু’র দাবি, তিনি আর ‘সক্রিয়’ রাজনীতিতে নেই।

সুজয়কৃষ্ণ কি জানতেন না যে, তিনি ভোটে হারবেন? তবুও কেন ভবানীপুর থেকেই ভোটে দাঁড়ালেন? তা-ও একেবারে মমতার বিরুদ্ধে? এ প্রসঙ্গে
সুজয়ের বক্তব্য, ‘‘আমি মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াইনি। আমি ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম শুধু৷ আমার বাড়ি বেহালায়। ব্যালটপেপারে এমন একজনের সঙ্গে নাম থাকলে সেটা ভাল লাগে। রাম-শ্যাম-যদু-মধুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কী লাভ! তা ছাড়া আমায় আর ক’জন চেনে যে, ভোট দেবে! বুথে বুথে ঘুরতে পারব, এটাই ছিল আমার ইন্টারেস্ট।’’

২০১১ সাল। রাজ্যে তখন পালাবদলের ঝড়। মমতার নেতৃত্বেই সাড়ে ৩৪ বছরের বাম জমানায় পড়েছে ছেদ। ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তিনি তখনও রাজ্যের বিধায়ক নন। তাই উপনির্বাচনে দাঁড়ান ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে। সেই উপনির্বাচনেই ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ওই নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী পেয়েছিলেন মোট ৭৩,৬৩৫ ভোট৷ আর ‘নির্দল’ সুজয়কৃষ্ণ পেয়েছিলেন মাত্র ৮০৯টি ভোট৷