কলকাতা: ১ বৈশাখ দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য দিবস তথা বাংলা দিবস করা হোক৷ এই মর্মে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করল রাজ্য সরকার৷ এদিন সরকারের তরফে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করেন। একই সঙ্গে এই প্রস্তাব এনেছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও৷
এ বিষয়ে এখনও আলোচনা বা ভোটাভুটি হয়নি৷ তার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হলেও, কেন্দ্রের সরকার তাতে মান্যতা দেবে না।
২০১৮ সালের ২৬ জুলাই রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ করার লক্ষ্যে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু রাজ্যের নাম পরিবর্তন করার জন্য সংসদেও তা পাশ করাতে হয়। ফলে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হলেও, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এবারও তেমনটাই হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত শুভেন্দু অধিকারীর৷
রাজ্য দিবস নিয়ে রীতিমতো সংঘাতের পরিস্থিত তৈরি হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, ওই দিনটি সমগ্র বাঙালি সমাজের কাছে দুঃখের৷ এদিন শাসক দলের তরফে যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ইংরেজ সরকার ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের কথা ঘোষণা করে। ওই বছর ২০ জুন এবং ২৩ জুন ভাগ হয়ে যায় বাংলা ও পাঞ্জাব৷ এই ঘটনা অত্যন্ত ‘দুঃখজনক’৷ তাই ওই দিনটির পরিবর্তে ১ বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসাবে বেছে নেওয়া হোক। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে বিবেচিত হোক।