কলকাতা: শহরে আছেন৷ কিন্তু, রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে থাকছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সরস্বতী পুজোয় তিনি যে ‘হাতেখড়ি’ দেবেন, সে কথা আগেই জানিয়েছিলে রাজ্যপাল৷ বাংলার প্রতি তাঁর বরাবরই টান৷ তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে থাকা বোস পদবীটিও নেতাজির নাম থেকে অনুপ্রাণিত৷ তবে তাঁর হাতেখড়ি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলেই টুইটে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। যদিও বিজেপিকে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার টুইট করে শুভেন্দু জানান, রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না তিনি। একই সঙ্গে টুইটে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথাও উল্লেখ করেন। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গুচ্ছ অভিযোগের পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ তাঁর কথায়, রাজ্যপালের ভালমানুষিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। নবান্নের ‘দূত’ হিসাবে ‘কাজ’ করছেন রাজ্যপাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, যখন টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে, তখন রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’র অনুষ্ঠান দেখিয়ে ওই সব ইস্যু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর৷
শুভেন্দু টুইটে লিখেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, এই অনুষ্ঠান পরিকল্পনার মূলে রয়েছে রাজ্য সরকার। যেন কোনও অশ্লীল বইকে ঝকঝকে মলাট দিয়ে মুড়ে ফেলার কাজ চলছে। আমি মনে করি, আজ বিকেল ৫টায় রাজভবনে যে অনুষ্ঠান রয়েছে তাতে রাজ্যপালের চেয়ার এবং রাজভবনের মর্যাদাকে বাড়াবে না।’’
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথায়, “প্রথমেই ভুল মাস্টারের কাছে হাতেখড়ি হলে, ভুলই শিখবেন। তাই ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন।” এহেন মন্তব্যের পর দিলীপ ঘোষকে পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “নিজেরা ঠিক ভাবে হাতেখড়ি দিন, না হলে ৭০ থেকে সাতে নেমে যাবেন।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>