উন্মোচিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিবমূর্তি! এর উচ্চতা কত? কোথায় গেলেই বা মিলবে দেখা

উন্মোচিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিবমূর্তি! এর উচ্চতা কত? কোথায় গেলেই বা মিলবে দেখা

উদয়পুর: এ যেন এক বিস্ময়৷ আকাশ ভেদ করে যেন দাঁড়িয়ে রয়েছে ভোলা মহেশ্বর৷ ভাঙল একের পর এক রেকর্ড৷  উন্মোচিত হল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মূর্তির৷

আরও পড়ুন- আক্রান্ত দেড় হাজার পার, দেশের কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী

রাজস্থানের রাজসমন্দ জেলার নাথদ্বারা এলাকায় ৫১ বিঘা জমির উপর নির্মিত এই সুবিশাল শিবমূর্তির উচ্চতা ৩৬৯ ফুট। ২০ কিলোমিটার দূর থেকেও যা খালি চোখে ধরা পড়ে৷ রাতের অন্ধকারেও স্পষ্ট দর্শন মিলবে ভোলে বাবার৷ কারণ এখানে রয়েছে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা৷ যা শিবমূর্তিকে আলোকিত করে তোলে৷ এই মূর্তির নামকরণ করা হয়েছে ‘বিশ্ব স্বরূপম’। 

শিব

শিবমূর্তিটি তৈরি করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগে গিয়েছে। মূর্তি উদ্বোধন উপলক্ষে ৯ দিনের বিশেষ মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে৷ এই উৎসবে সামিল হবেন খোদ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহটল৷ এটি বিশ্বের পাঁচটি উচ্চতম মূর্তির মধ্যে স্থান পেয়েছে। শনিবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশীর উপস্থিতিতে শিবের পূর্ণাবয়ব এই মূর্তি উন্মোচিত হয়৷ 

‘তাত পদম’ নামক একটি সংস্থার উদ্যোগে এই শিব মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে৷ সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য মদন পালিওয়াল জানিয়েছেন,  মূর্তি উদ্বোধন উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর— ন’দিন ধরে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘ভগবান শিবের এই মূর্তিটি রাজস্থানের পর্যটনে  একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে৷’’ বিশ্বের সর্ববৃহত্তম শিবমূর্তির লোকার্পণের জন্য দেড় লক্ষ বর্গফুটের একটি বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে ভোগ খেতে পারবেন। এই প্যান্ডেলটি তৈরি হয়েছে জার্মান প্রযুক্তিতে৷ ট্রাস্টের কর্তাদের অনুমান, এই মূর্তিটি দেখতে দিনে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভক্তের সমাগম হবে৷  

শিব

৫১ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর নির্মিত ভগবান শিবের এই ধ্যানস্থ মূর্তির বাইরে রয়েছে পঞ্চধাতুর প্রলেপ৷ মূর্তির আস্তরণে জিঙ্ক থাকায় তা রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাবে৷ শিবমূর্তিটি এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যাতে ২৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া চললেও এর কোনও ক্ষতি হবে না৷ 

২০১২ সালে মূর্তি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। তার পর ধাপে ধাপে পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোতে থাকে। এই মূর্তি তৈরিতে লেগেছে ৩ হাজার টন ইস্পাত ও লোহা,  আড়াই লক্ষ টন সিমেন্ট ও বালি৷ মূর্তির একেবারে উপরে পৌঁছনোর জন্য চারটে লিফট ও তিনটি সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে৷