তৃণমূলে ‘খুচরো’ দুর্নীতি হলে, বিজেপি’তে হয় ‘হোলসেল’, তোপ ডেরেকের

তৃণমূলে ‘খুচরো’ দুর্নীতি হলে, বিজেপি’তে হয় ‘হোলসেল’, তোপ ডেরেকের

কলকাতা:  শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনার কাউন্টডাউন৷ রাত পোহালেই শুরু গণনার পালা৷ এর ঠিক আগে ‘বিশ্বাসঘাতক’দের তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তাঁর কথায়, কে কত বছর দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেটা বড় কথা নয়৷ যাঁরা দলে থেকে পিছন থেকে ছুরি মারে তাঁরাই বিশ্বাসঘাতক৷ 

আরও পড়ুন- রাজভবনে মিঠুন! রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে বাড়ছে জল্পনা

বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতির হাওয়া উত্তপ্ত করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদীর মতো হেভিওয়েট নেতারা৷ এই তালিকা বেশ দীর্ঘ৷ একের পর এক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন৷ নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলে বারবার এই নেতাদের বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর, গদ্দার বলে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার ডেরেকের নিশানায় দলত্যাগীরা৷ 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দুর নাম না করেই ডেরেক বলেন, ‘‘সাড়ে ন’বছর দলে থাকার পর, মন্ত্রী হওয়ার পর, সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পদ পাওয়ার পর এক নেতার মনে হল তৃণমূলের সবটাই ভুল৷ বিজেপি’তে যাওয়ার পর তিনি নিজেই বলছেন, ২০১৪ সাল থেকেই নাকি অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর৷ এরা বিশ্বাসঘাতক ছাড়া আর কী?’’ পাশাপাশি তোপ দেগে ডেরেক আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যাওয়া এই নেতাদের অধিকাংশই ঘুষ নিয়েছিলেন৷ এখন বিজেপি’র ওয়াশিংমেশিনে গিয়ে তাঁরাই শুদ্ধ হয়েছেন৷’’  

আরও পড়ুন- করোনা সঙ্কটমোচনে এবার কলকাতায় ‘অক্সিজেন পার্লার’

নির্বাচনী প্রচার চলার সময় বারবার একটি কথা উঠে এসেছে বিরোধীদের গলায়৷ তাঁদের কথায়, তৃণমূলের নীচুস্তরে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি৷ যদিও এই কথা অস্বীকার করে ডেরেক বলেন, এটা বিজেপি’র অপপ্রচার৷ ২ মে মানুষের রায় জানা যাবে৷ তখন সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ তাঁর কথায়, তৃণমূলে যদি খুচরো দুর্নীতে হয়েও থাকে, তাহলে বিজেপি’তে হোলসেল বা পাইকারি হারে দুর্নীতি চলে৷ বিজেপি’র সবটাই দুর্নীতিতে ভরা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − nine =