বিধানসভা নাকি ক্লাসরুম? হল্লা করা তৃণমূল বিধায়কদের চুপ করাতে লজেন্স ধরালেন মন্ত্রীমশাই

বিধানসভা নাকি ক্লাসরুম? হল্লা করা তৃণমূল বিধায়কদের চুপ করাতে লজেন্স ধরালেন মন্ত্রীমশাই

কলকাতা:  স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছোট ছোট পড়ুয়াদের হাতে লজেন্স ধরানোটা দস্তুর৷ আবার অনেক সময় স্কুলে বাচ্চাদের শান্ত রাখতেও তাদের হাতে লজেন্স ধরিয়ে থাকেন মাস্টার মশাইরা৷ তারা যেন চিৎকার চেঁচামেচি না করে চুপ থাকেন৷  প্রথমে অবশ্য বকাবকা করে, তারপরে বোঝানও৷ তাতে কাজ না হলে, দেওয়া হয় লজেন্স বা চলকেলেট টোপ৷ এমনটা তো আমাদের সকলেরই জানা৷ কিন্তু, শুক্রবার বিধানসভায় যা ঘটল, তা বিরল৷ নজিরবিহীন এই ঘটনায় তাজ্জব সকলে। 

আরও পড়ুন- পকেটে সামান্য অর্থ, সস্তার মোবাইল! ‘সৎ রঞ্জন’ কি নিজেকে নিঃস্ব প্রমাণের চেষ্টায়

বিধানসভায় তখন বাজেট নিয়ে এক এক করে বক্তব্য রাখছিলেন বিরোধী দলের বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে চিৎকার করতে শুরু করেন শাসকদলের বিধায়কদের একাংশ। তাদের দাবি, বিজেপি বিধায়করা মিথ্যা কথা বলছেন৷ অন্যদিকে,বিজেপি বিধাকরা জানান, এত চিৎকার চেঁচামেচিতে তাঁরা নিজেদের বক্তব্যই রাখতে পারছেন না৷ তাদের বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই অধ্যক্ষ নিজে কয়েকবার তাঁদের চুপ করতে বলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এমতাবস্থায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এগিয়ে আসেন৷ তিনি চিৎকার করে সকলকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় মোক্ষন চালটি দেন পরিষদীয় মন্ত্রী সুগন্ধী চট্টোপাধ্যায়৷ 

এদিন হইহট্টোগোলের মাঝেই নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন পরিষদীয় মন্ত্রী৷ নিজের দলের বিধায়কদের দিকে তিনি এগিয়ে যান৷ তাঁদের বোঝান, বিরোধীদের যদি বলতে দেওয়া না হয়, তাহলে তাঁদের বলার সময়ও বিরোধীরা বাধা সৃষ্টি করবে। তবে এতেও লাভ হল না৷ তিনি বুঝে যান, এঁদের বুঝিয়ে কোনও কাজ হবে না! 

এর পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাত ঢোকান নিজের জহর কোটের পকেটে৷ বার করে আনেন বেশ কিছু লজেন্স। যাঁরা চিৎকার করে প্রতিবাদ করছিলেন, তাঁদের হাতে একটা করে চকলেট গুঁজে দেন৷ সেই সঙ্গে বলেন, লজেন্স মুখে পুরে শান্ত হয়ে বসে থাকুন। লজেন্স হাতে পাওয়া মাত্রই সব যেন শান্ত! এও যেন এক ক্লাসরুম!