কলকাতা: দীর্ঘ এই জীবনে যৌবন বড়ই ক্ষণস্থায়ী৷ যৌবন ধরে রাখতে অনেকেই অনেক কৌশল অবলম্বন করে থাকেন৷ কেউ প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখে, কেউ আবার বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে যৌবন বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালায়৷ যৌবনকালের স্থায়িত্ব কী ভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরাও৷ সম্প্রতি একদল গবেষক মানুষের যৌবনকালের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে তাঁরা আংশিক সফলও হয়েছেন৷
আরও পড়ুন- সূর্য থেকে খসে পড়ল শরীরের একটি বিশাল অংশ, যা ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক একটি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সেটির আয়ু বৃদ্ধি করতে পেরেছেন। বর্তমানে ইঁদুরটির বয়স ৪৭ মাস৷ নাম সীমা।
গবেষণার জন্য একই প্রজাতির ইঁদুরকে দুটি দলে ভাগ করে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে একটি দলকে দেওয়া হয় প্ল্যাসিবো স্যালাইন৷ অপর গ্রুপের ইঁদুরগুলোকে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রাণির রক্তের প্লাজমা। এবং প্লাজমা গ্রহণকারী ইঁদুরগুলো অন্য ইঁদুরগুলোর তুলনা বেশি সময় জীবিত ছিল বলে জানান গবেষকরা।
এই বিষয়ে যে গবেষণাটি চলছে, তার নাম ‘য়ুভান রিসার্চ’৷ এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন ড. হ্যারল্ড ক্যাচার। তাঁর দাবি, তাঁরা ইঁদুরের জীবনকাল বাড়াতে সফল হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পরীক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য মানুষের জীবনকাল বাড়ানো নয়৷ বরং মানুষের তারুণ্যের সময়কালকে দীর্ঘায়িত করা৷ মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করা, তাদের সোনালী দিনগুলোকে যন্ত্রণা ও অবক্ষয় নয়, পরিবর্তে সত্যিকারের সোনার বছর হিসেবে গড়ে তোলা।’
হ্যারল্ড ক্যাচরের মতে, দীর্ঘায়ু হওয়ার বিষয়টি মূলত মানব জীবনে যৌবনকাল স্থায়ীকরণের গবেষণারই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তিনি আরও বলেন, ‘এতে কোনও রকম নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।’ ক্যাচারের অনুমান, প্লাজমাভিত্তিক গবেষণা থেকে নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আগামী ২০ বছরের মধ্যে করে আনা সম্ভব।
কিন্তু এত বিপুল পরিমান প্লাজমার উৎস কী হবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূকর, গরু, ছাগল, ভেড়া এবং এমনকি মানুষসহ সব স্তন্যপায়ী প্রাণী সম্ভাব্য দাতা হতে পারে। তাঁরা কসাইখানা থেকে পশুদের রক্ত সংগ্রহ করার পরামর্শও দিয়েছেন৷ রক্তের তরল, হালকা হলুদাভ অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে। রক্তকণিকা ব্যতীত রক্তের বাকি অংশই হল রক্ত রস। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্তের প্রায় ৫৫% রক্তরস থাকে। রক্তরসে ৪ ধরনের অজৈব পদার্থ দেখা যায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>