মুখোমুখি হতেই মাঠে বাকযুদ্ধে কোহলি-গম্ভীর, চোখ রাঙিয়ে শাস্তির মুখে দুই তারকা

মুখোমুখি হতেই মাঠে বাকযুদ্ধে কোহলি-গম্ভীর, চোখ রাঙিয়ে শাস্তির মুখে দুই তারকা

 নয়াদিল্লি: তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়েছিল ১০ বছর আগে৷ ২০১৩ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে। ২০২৩ সালে সেই আইপিএলের মঞ্চেই আরও একবার প্রকাশ্যে বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর দ্বৈরথ। মাঝ মাঠে বিবাদে জড়ালেন কোহলি-গম্ভীর৷ উত্তপ্ত বাদানুবাদে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠল৷ তাঁদের থমাতে হিমশিম খেলেন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা।

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ম্যাচ চলাকালীনই। প্রথম পর্বের হারের পাল্টা জবাব দিতে এদিন চেনা মেজাজে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। যখনই লখনউ উইকেট হারিয়েছে, তখনই বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন বিরাট৷ এলএসজির উইকেট পড়ার পর লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকান কোহলি৷ মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকার ভঙ্গি করে দেখান তিনি। এক সময় বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখে আঙুল নিয়ে দর্শকদের চুপ করিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এদিন, বিরাট তার পাল্টা দিতেই আরও গম্ভীর হয় গৌতমের মুখ৷ 

এদিকে,  স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার দিকে চুমু ছুড়ে দেন আরসিবি’র প্রাক্তন অধিনায়ক। এর পর আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন বিরাট। টুপি খুলে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। সেটা ভাল ভাবে নেননি নবীন। এর পর হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু বলতে দেখা যায় লখনউয়ের এই বিদেশি ক্রিকেটারকে। পাল্টা জবাব দেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে উপস্থিত হন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলতেই চরম বাদানুবাদ শুরু হয় দু’জের মধ্যে৷ তাঁদের সামলাতে ছুটে আসেন দুই দলের অনান্য ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। 

কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি ঠান্ডা করা গেলেও, খানিক পর দেখা যায়, কোহলি ও গম্ভীর দূর থেকেই একে অপরকে কিছু বলছেন। এর পরেই তাঁরা একে অপরের দিকে তেড়ে যান। একে অপরের দিকে আঙুল উঁচিয়ে চেঁচাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামেন অমিত মিশ্রা ও বিজয় দাহিয়া। তাদের চেষ্টায় কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়৷ এরই মধ্যে বিরাট ও গৌতমের বিবাদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে মাঠের উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্পষ্ট ধরা পড়ে। পরে লখনউ-এর অধিনায়ক কেএল রাহুলের সঙ্গেও পৃথকভাবে কথা বলতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। তখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত৷ 

তবে মাঠের মধ্যে এহেন আচরণে মোটেই সন্তুষ্ট নয় বিসিসিআই ও আইপিএল আয়োজক কমিটি। জানা যাচ্ছে, আইপিএল-এর আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীর ও আরসিবি-র ক্রিকেটার বিরাট কোহলির  পুরো ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছে। বাদ গেলেন না নবীন উল হকও। ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে নবীন উল হককেও। 

আইপিএল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, ‘‘আইপিএলের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। তাঁর ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছে। গম্ভীর সেই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। একই ভাবে বিরাট কোহলিও আইপিএলের নিয়ম ভাঙায় তাঁরও ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছে। বিরাটও সেই শাস্তি মেনে নিয়েছেন।”