নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল ২৫,৭৫৩ জন চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর ভাগ্য৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল না প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷ এদিন শুনানি পর্বে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টা আমরা বিবেচনা করে দেখব। তার আগে কোনও শর্ত ছাড়া আমরা স্থগিতাদেশ দিতে আগ্রহী নয়।’’ বিচারপতি পারদিওয়ালার বক্তব্য, ‘‘কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য, সেটা বাছাই করা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ’’৷
এদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী মনিন্দর সিং আদালতে বলেন, ‘‘ওএমআর শিট কোনও ভাবেই মেলানো সম্ভব নয়। কারণ, প্রত্যেকের দুটো করে ওএমআর শিট হবে। একটি এসএসসির কাছ থেকে অন্যটি নাইসার কাছ পাওয়া যাবে। এ বার কোনও ওএমআরে কারচুপি হয়েছে, সেটা কী ভাবে বোঝা সম্ভব? এর চেয়ে ভালো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা৷’’
এই বক্তব্য শোনার পরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘হাই কোর্টের রায়ে এখনই কোনও স্থগিতাদেশ আমরা দিচ্ছি না। সিবিআই একই ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাবে। জুলাই মাসে ফের মামলা শুনব। এখন শুধু সব পক্ষকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে।’’