কলকাতা: যত কাণ্ড ‘ল্যাংচা কুটির’-এ৷ আগুন্তুককে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য!
আরও পড়ুন- রাজ্য রাজনীতিতে কীভাবে উত্থান অনুব্রতর? কী কী অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে?
মঙ্গলবার আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া পুলিশি পাহাড়ায় কলকাতায় নিয়ে আসার পথে পুলিশের কনভয় থেমেছিল শক্তিগড়ে৷ সেখানেই কেষ্টকে নিয়ে ‘ল্যাংচা কুটির’-এ প্রাতরাশ সারতে নামে পুলিশ। সেই সময়েই তাঁর টেবিলে দেখা যায় ‘তিন মূর্তি’-কে। অনুব্রত মণ্ডলের ব্রেকফাস্ট টেবিলে ওঁরা কারা? জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এদিন একই টেবিলে বসে ল্যাংচার স্বাদ নিয়েছিলেন বীরভূমে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় ঘোষ। দোকানের মালিকের দাবি, খাবারের বিল নাকি তিনিই মিটিয়েছিলেন। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে কৃপাময় অনুব্রত মণ্ডলের এত কাছে পৌঁছলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁর? সেই উত্তর কিন্তু মেলেনি৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, তিনি উত্তর দেননি৷ এদিকে বাড়িতেও নেই কৃপা৷ কোথায় গেলেন তিনি? পরিবারের সদস্যরা জানান, কাজে বেরিয়েছেন৷ তবে তিনি কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁদের কোনও ধারণা নেই।
এরই মধ্যে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷ যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ওই ছাত্রনেতা তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে তুমি, তুমি শিরায় উপশিরায়।’ (‘রন্ধে রন্ধে তুমি, তুমি শিরায় উপশিরায়’এই বানান রয়েছে তাঁর স্টেটাসে)। ২০০০ সাল থেকেই এই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস রয়েছে তাঁর৷
বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, এই কৃপাময় অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই পরিচিত৷ তবে মঙ্গলবার অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর কী কী বিষয়ে কথা হল, তা এখনও অজানাই৷