ডায়াবেটিস রাখুন নিয়ন্ত্রণে, যদি সঙ্গে থাকে এই ফল

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হল পেয়ারা৷ পেয়ারার মধ্যে থাকা খাদ্যগুণ একে অনান্য ফলের থেকে আলাদা করে তোলে৷ তাই এর মধ্যে থাকা পুষ্টির সমন্বয় এটিকে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়৷ পেয়ারাতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) থাকে, যা খাদ্যবস্তুকে ধীরে ধীরে হজম হতে সাহায্য করে ৷ পেয়ারাতে কম সোডিয়াম এবং অধিক

ডায়াবেটিস রাখুন নিয়ন্ত্রণে, যদি সঙ্গে থাকে এই ফল

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হল পেয়ারা৷ পেয়ারার মধ্যে থাকা খাদ্যগুণ একে অনান্য ফলের থেকে আলাদা করে তোলে৷ তাই এর মধ্যে থাকা পুষ্টির সমন্বয় এটিকে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়৷

পেয়ারাতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) থাকে, যা খাদ্যবস্তুকে ধীরে ধীরে হজম হতে সাহায্য করে ৷ পেয়ারাতে কম সোডিয়াম এবং অধিক পটাশিয়াম রয়েছে৷আর বর্তমানের ইঁদুর দৌড়ের এই অত্যাধুনিক জীবনযাত্রার বিভিন্ন সময়ে ‘সনাতন ডায়েট’ থেকে ‘বাণিজ্যিক ডায়েটে’ এক অভিনব পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ৷ আর পেয়ারা হল সেই ডায়েট চার্টের মধ্যে থাকা অন্যতম একটি ফল৷যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জীবনে এনে দিয়েছে এক অন্যমাত্রা৷

প্রত্যেক বছর ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে তা সত্যিই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ জানা গেছে ডায়াবেটিস হলে অগ্ন্যাশয় রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করার ক্ষমতা থাকা দরকার তা হারিয়ে ফেলে৷ ফলস্বরূপ, রক্ত সুগার সংরক্ষণ করার জন্য কোষগুলিতে প্রবেশ করতে পারে না, যার ফলে মানবদেহে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়৷ আর এই পরিস্থিতির জন্য মূলত অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাদ্যই দায়ী থাকে৷ তবে শুধুমাত্র মিষ্টি জাতীয় খাদ্যই নয় এই ব্লাড সুগারের জন্য দায়ী থাকে আরও অনেক কিছুই৷ তাই এর মোকাবিলা করতে ডায়াবেটিসের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখা উচিত যা খেলে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি হ্রাস পেতে সাহায্য করবে ৷এক্ষেত্রে অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য তথা ফল হল পেয়ারা৷ নরম, বীজযুক্ত হালকা সবুজ বর্ণের এই ফল মূলত শীতকালেই বেশি পাওয়া যায়৷

ডায়াবেটিস: জানা গেছে নিয়মিত পেয়ারা খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে৷ দেখে নেওয়া যাক যে পেয়ারা কীভাবে রক্তে শর্করাকে পরিচালনা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে-

১. পেয়ারাতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) থাকে৷ যার অর্থ এটি হজম হয় এবং ধীরে ধীরে শোষিত হয় এবং গ্লুকোজ স্তর ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি প্রভাবিত করে৷

২. প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়া যা রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে রাখার জন্য দুর্দান্ত বলে বিবেচিত হয়৷ আঁশগুলি হজম করতে দীর্ঘ সময় নেয়, যা এটি নিশ্চিত করে যে এটি দ্রুত রক্ত প্রবাহে দ্রুত বেরিয়ে না যায়৷

৩. পেয়ারাতে ক্যালোরি কম থাকে, সুতরাং এটি ওজন পরিচালনায় সহায়তা করে৷ অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তে শর্করার আরেকটি কারণ কারণ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুসারে, ১০০ গ্রাম ফলের মধ্যে কেবল ৬৮ ক্যালোরি এবং মাত্র ৮.৯২ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে৷

৪. পেয়ারাতে কম সোডিয়াম সামগ্রী এবং উচ্চ পটাসিয়াম সামগ্রী (প্রতি ১০০ গ্রামে ৪১৭ গ্রাম) থাকে, যা ডায়াবেটিস ডায়েটের অন্যতম পূর্বশর্ত পূরণ করে৷

৫. আপনি যদি ভাবেন কমলা ভিটামিন সি এর সেরা উত্স, এটি পড়ুন – পেয়ারা কমলাতে ভিটামিন সি এর চেয়ে৷

৪ গুণ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়! পুষ্টিগুণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে পেয়ারা উপরে উল্লিখিত সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও আপনার জানা উচিত যে পেয়ারা স্বাস্থ্যকর দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজগুলির জোগান দিতে সক্ষম৷

এটি কাঁচা খান বা রস খান, তবে এই শীতের মৌসুমে পেয়ারা সংগ্রহ করতে ভুলবেন না৷ তবে নিজের খাদ্য তালিকায় কোনও কিছু যুক্ত করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =