Air India Black Box Investigation
আহমেদাবাদ: আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171 বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই তৎপর কেন্দ্র। দুর্ঘটনার পর প্রথমবার মুখ খুলে বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু৷ তিনি জানান, বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার ডেটা বিশ্লেষণের কাজ চলছে। এই ডেটা থেকেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন হবে বলে মনে করছে Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)।
একাধিক উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এএআইবি ছাড়াও, ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে তদন্তে নেমেছে। মন্ত্রী জানান, এএআইবি প্রধান স্বয়ং দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।
রাম মোহন নাইডু বলেন, “ঘটনার গুরুত্ব বুঝে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করি। ব্ল্যাক বক্সটি গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে থাকা ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে ঠিক কী ঘটেছিল৷’’
বিমানের মানের উপর নজর Air India Black Box Investigation
মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের এবং কঠোর নীতির অধীন। তবে এই ঘটনার পর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের বিমানের উপর। এই সিরিজের মোট ৩৪টি বিমান বর্তমানে ভারতের বেসরকারি ও সরকারি উভয় বিমান সংস্থার বহরে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৮টি বিমানের জরুরি পরিদর্শন শেষ হয়েছে এবং বাকি বিমানের পরিদর্শনও দ্রুত শেষ করা হবে।
তিনি জানান, “DGCA-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বোয়িং ৭৮৭ বিমানের উপরে বিশেষ নজরদারি বাড়াতে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং প্রযুক্তিনির্ভর পর্যালোচনার মাধ্যমে এই মডেলের নিরাপত্তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হবে৷’’
এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব সমীর কুমার সিনহা। তিনি জানান, ওই বিমানটি প্যারিস থেকে দিল্লি হয়ে আহমেদাবাদ পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাপদে পৌঁছেছিল। দুর্ঘটনার কোনও পূর্বাভাস বা কারিগরি ত্রুটির সংকেত মেলেনি।
২৭০ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (AI 171) বিমানটি সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘানীনগরে একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল ও ক্যান্টিন কমপ্লেক্সের উপর ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। দুর্ঘটনায় বিমান ও স্থল মিলিয়ে মোট ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে কোনও সম্ভাবনাকেই বাতিল করা হচ্ছে না। কারিগরি ত্রুটি, মানবিক ভুল, অথবা যান্ত্রিক ব্যর্থতা সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, “এই তদন্ত হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত। দোষ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ
সরকার নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), এবং এয়ার ইন্ডিয়া যৌথভাবে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই দুর্ঘটনা ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে ভবিষ্যতের বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
India: Following the Air India AI 171 crash in Ahmedabad, Civil Aviation Minister Ram Mohan Naidu confirms the black box has been recovered and its data is under analysis. Multiple high-level investigation committees, including AAIB and DGCA, are probing to uncover the true cause of the fatal accident.