নয়াদিল্লি: দেশের আকাশসীমাকে অভেদ্য করে তুলতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও চীনের সীমান্তবর্তী এলাকায় বায়ু প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অনন্ত শাস্ত্র’ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (SAM) ব্যবস্থার পাঁচ থেকে ছয়টি রেজিমেন্ট কেনার জন্য টেন্ডার জারি করা হয়েছে।
এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) দ্বারা তৈরি, যা পূর্বে কুইক রিয়্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (QRSAM) নামে পরিচিত ছিল। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প ভারতীয় সেনার বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ক্রয় সিদ্ধান্তটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। গত মে মাসে পাকিস্তান থেকে পরিচালিত ড্রোন হামলা কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে ভারতীয় সেনার এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দেশীয় প্রযুক্তির গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধিগ্রহণ পরিষদ (DAC) ইতিমধ্যেই ‘অনন্ত শাস্ত্র’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। একবার অনুমোদন মিলে গেলে, এই অত্যন্ত মোবাইল এবং ক্ষিপ্র ব্যবস্থা দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত বরাবর মোতায়েন করা হবে।
‘অনন্ত শাস্ত্র’-এর বিশেষত্ব: চলন্ত অবস্থাতেই আঘাত Anant Shastra Missile System
এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর গতিশীলতা। সেন্সরগুলি চলন্ত অবস্থায় লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত ও ট্র্যাক করতে সক্ষম এবং খুব কম সময়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি চালু করা যায়। এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে দিনের পাশাপাশি রাতের বিভিন্ন অপারেশনাল পরিস্থিতিতেও।
পাল্লা প্রায় ৩০ কিলোমিটার, যা MRSAM এবং আকাশ (Akash) ক্ষেপণাস্ত্রগুলির সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে। সাম্প্রতিক চার দিনের সংঘাতে পাকিস্তান ও চীনা ড্রোন হামলার সময় L-70 এবং Zu-23 এয়ার ডিফেন্স গানগুলিই প্রধানত প্রতিহত করেছিল। পাশাপাশি আকাশ ও MRSAM-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আত্মনির্ভরতার পথে ভারতীয় সেনা
সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। ‘অনন্ত শাস্ত্র’ সংগ্রহ সেই আত্মনির্ভরতার প্রতীক। ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে জোরওয়ার লাইট ট্যাঙ্ক, জ্যামার ও লেজার-ভিত্তিক ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে।
এই বিপুল বিনিয়োগ কেবল সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াবে না, বরং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর স্বপ্নকেও আরও দৃঢ় করবে। দেশের সুরক্ষায় দেশীয় শিল্পের অগ্রগতি প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য গর্বের বিষয়।
India: The Indian Army issued a tender for 5-6 regiments of the indigenous ‘Anant Shastra’ (formerly QRSAM) SAM system to bolster air defense on the Pakistan and China fronts, an acquisition worth ₹30,000 Crore. This highly mobile, DRDO-developed system, with a 30 km range, can engage targets while moving, a capability decision accelerated after the successful thwarting of drone attacks during Operation Sindoor.










