Five Weapon Systems used In Operation Sindoor

নয়াদিল্লি: “এটি শুধু প্রতিশোধের নয়, এটি ছিল শক্তির, সাহসিকতার, এবং ভারতের অটল সংকল্পের এক অগ্নিপরীক্ষা।” ৭ মে শুরু হওয়া অপারেশন সিঁদুর ছিল পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের এক অভিযান, যা পাকিস্তানকে শোচনীয় পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি বিধ্বংসী অভিযানে নামে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো দেশকে ভারত আর নিস্তার দেবে না—এই বার্তা  স্পষ্ট করে দেওয়া হয়৷

SCALP মিসাইল: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস
পাকিস্তান এক মুহূর্তের জন্যও ভাবতে পারেনি যে, ভারত তাদের আকাশ ও ভূমি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেবে। যে যে অস্ত্রে ভারত পাকিস্তানকে ঘায়েল করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল SCALP মিসাইল৷ ৪৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুর অবস্থানকে চিহ্নিত করে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ যা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে গজিয়ে ওঠে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই মিসাইল পাকিস্তানের চোখে যেন দুঃস্বপ্ন এঁকে দিয়েছে৷ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধসে পড়েছে৷ ভারতের ক্ষিপ্র আক্রমণের সামনে একেবারে অসহায় হয়ে পড়ে শাহবাজ শরিফের দেশ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা যে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে, তা প্রায় স্পষ্ট৷

Harop ড্রোন: এক ভয়ঙ্কর কামিকাজি হামলা Five Weapon Systems used In Operation Sindoor

ভারতের Harop ড্রোন আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবে পরিচিত৷ যা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও রাডার সিস্টেমে আক্রমণ করে তাদের সমস্ত নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়। পাকিস্তান একে একে তার ডিফেন্স সিস্টেম হারাতে থাকে। এই ড্রোন ছিল শুধুমাত্র একটি টুল নয়, এটি ছিল একটি নির্দেশনা—“সন্ত্রাসবাদ ও মিথ্যা গৌরবের কোনো জায়গা এখানে নেই।”

Akash মিসাইল: আকাশে ভারতের মুঠোয় ভীতি

ভারতের আকাশ মিসাইল সিস্টেম শুধুমাত্র অস্ত্র নয়, এটি ছিল পাকিস্তানের কাছে এক ভয়ঙ্কর বার্তা। ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইল, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। আকাশ মিসাইলের সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক রাডার ও ট্র্যাকিং সিস্টেম৷ যা পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের আকাশে কোনো প্রকার আক্রমণ আর সহ্য করা হবে না। পাকিস্তানি ড্রোন, মিসাইল, বা বিমান—এগুলো একে একে আকাশ মিসাইলের সামনে পড়ে টুকরো টুকরে হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সেনা যেভাবে আকাশে আঘাত হেনেছে, তাতে পাকিস্তানের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারত এবার তাদের আকাশে নিজেদের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে!

L-70: শত্রুকে আকাশেই ছিন্নভিন্ন করতে এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র

ভারতের L-70 অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট গান ছিল পাকিস্তানকে আকাশে একেবারে ধ্বংসস্তূপ বানানোর অস্ত্র! আধুনিক ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম এবং রাডার সজ্জিত এই অত্যাধুনিক গানের মাধ্যমে পাকিস্তান আকাশে কোনো ধরণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। L-70 গানের গতি ও নির্ভুলতা ছিল এমন, যে পাকিস্তানি ড্রোন কিংবা বিমান আক্রমণের যে কোনো প্রচেষ্টা একেবারে অকেজো হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি শত্রু লক্ষ্যবস্তুকে L-70 পরিণত করেছে ধ্বংসের স্তূপে। এক কথায়, পাকিস্তানের আকাশে কোনো নিরাপত্তা ছিল না—L-70 ভারতীয় সেনার মুঠোয় এক ভয়ঙ্কর শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ZSU-23-4 Schilka: একে বলে ভয়ঙ্কর আকাশ প্রতিরক্ষা—পাকিস্তানের জন্য মৃত্যুর সঙ্গী!

ZSU-23-4 Schilka রাশিয়ান প্রযুক্তির এক দানবীয় সিস্টেম, যা ২৩ মিমি চারটি বন্দুকসহ এক অত্যাধুনিক ট্র্যাকড প্ল্যাটফর্মে স্থাপিত, পাকিস্তানের ড্রোন এবং বিমান আক্রমণগুলোকে একে একে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিটি পাকিস্তানি শত্রু বিমান বা ড্রোন আকাশে ZSU-23-4 এর সামনে এসে একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। এটি ছিল পাকিস্তানের আকাশে ভারতীয় সেনার মৃত্যুর বাণী, যার মাধ্যমে প্রক্সিমিটি-ফিউজ শেল পাকিস্তানের আকাশ হামলাগুলিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। পাকিস্তান আকাশে যতবারই আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে, ততবারই ZSU-23-4 Schilka তাদের সব পরিকল্পনা মাটি হয়ে গেছে। ভারতের শক্তি ছিল একেবারে প্রলয়কর!

পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা: “ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে”

ভারতীয় সেনাবাহিনী এদের বুঝিয়ে দিয়েছে, যদি তারা সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করে, তবে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। অপারেশন সিঁদুরের আওতায় ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে আঘাত করেছে, যা ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। পাকিস্তান এখন জানে, ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ একেবারে ধ্বংসাত্মক হতে পারে।

India: Operation Sindoor: India’s powerful retaliation against Pakistan after terror attacks, showcasing SCALP, Harop drones & Akash missiles, devastating their defense systems. A test of strength and resolve.