অপারেশন সিঁদুর: পাক পোস্ট ছারখার, প্রাণ হাতে পালল রেঞ্জার্স

নতুন করে উত্তপ্ত সীমান্ত। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ প্রকাশ্যে আনল ‘অপারেশন সিন্ধূর’-এর ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাক অধিকৃত অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে…

India Pakistan Border Clash

নতুন করে উত্তপ্ত সীমান্ত। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ প্রকাশ্যে আনল ‘অপারেশন সিন্ধূর’-এর ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাক অধিকৃত অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে নিশানাভেদী হামলা চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। পাক রেঞ্জার্স ছুটছে প্রাণ হাতে। পুরো অপারেশনের প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়েছে ওই দৃশ্যপটে।

প্রাণ হাতে পালায় পাক রেঞ্জার্স

বিএসএফের জম্মু ফ্রন্টিয়ারের আইজি শশাঙ্ক আনন্দ জানান, মে মাসের ৯ ও ১০ তারিখের মধ্যরাতে ভারতের পক্ষ থেকে চালানো হয় এই পরিকল্পিত হামলা। ২.২ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে লস্কর-ই-তইবার লুনি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাড সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের বায়ুসেনা। ধ্বংস হয় মাস্তপুর নামের আরও একটি ঘাঁটি, যেটি আরএস পুরা সেক্টরের উল্টোদিকে অবস্থিত ছিল।

আনন্দ বলেন, “আমরা টার্গেট নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করেছিলাম। পাকিস্তানি রেঞ্জার্স পালিয়ে বাঁচে। কিন্তু আমরা সীমান্তে আধিপত্য বজায় রেখেছি।” তাঁর মতে, এই প্রতিঘাত  ছিল পাকিস্তানের তরফে নির্লজ্জ আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া।

ড্রোন হানার পর শোক India Pakistan Border Clash

১০ মে সকালে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে একাধিক পাক ড্রোন। ভারতীয় সেনা গুলি চালিয়ে কয়েকটি ড্রোন নামিয়ে দেয়। তবু, বিস্ফোরণে শহিদ হন বিএসএফ-এর দুই জওয়ান ও সেনার এক সদস্য। “আমরা আমাদের যোদ্ধাদের হারিয়েছি ঠিকই, কিন্তু শত্রুকে বড়সড় ক্ষতি করেছি,” বলছেন আনন্দ।

৪০-৫০ জন জঙ্গির গতিবিধি, আগাম হামলা

৮ মে-র আগেই বিএসএফ গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি একত্রিত হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গির দল। সঙ্গে ছিল পাক রেঞ্জার্সের সাহায্যও। সেই মুহূর্তেই সক্রিয় হয় বিএসএফ। ডেপুটি আইজি এসএস মান্ড জানান, “ওই গোপন খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। প্রথমে পাকিস্তান থেকে আমাদের পোস্টে গুলি চালানো হয়। পাল্টা জবাবে তাদের সন্ত্রাসবাদী, রেঞ্জার্স ও অফিসারদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।”

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সতর্ক বিএসএফ

পাকিস্তান ৯ মে ফের গুলি চালায় আখনূর সেক্টরের ভারতীয় চৌকিগুলিতে। এর পাল্টা হিসেবে ফের গর্জে ওঠে বিএসএফের কামান। ১০ তারিখে ব্যাপক হারে শুরু হয় ড্রোন আক্রমণ। আরএস পুরা সেক্টরের ডিজি চিত্তর পাল বলেন, “ওরা ফ্ল্যাট ট্রাজেক্টরি অস্ত্র, মর্টার ব্যবহার করেছিল। পরে ড্রোনের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটায়। আমাদের প্রতিআক্রমণে ওদের মাস্তপুর লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে দেওয়া হয়।”

‘সীমান্তে ভারতের আধিপত্য স্পষ্ট’

বিএসএফের মতে, এই অপারেশন পাকিস্তানের তরফে প্ররোচনার সরাসরি ও সুনিপুণ জবাব। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে, অপারেশন সিন্ধূর তারই এক কঠিন উদাহরণ।

পর্যালোচনায় দিল্লি

উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি প্রতিক্রিয়া ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদিত ও পূর্ণ পর্যবেক্ষণে। সীমান্তে একচুল ছাড় না দেওয়ার নীতি স্পষ্ট।

India: Watch the Operation Sindhur video! BSF releases footage of precision strikes on Pakistan-occupied terror camps after a drone attack. Indian forces destroyed LeT launchpads, forcing Pak Rangers to flee. This retaliation followed intel on 40-50 terrorists near the border. Get full details of this intense border action.