Meghalaya Murder New Name Emerges
নয়াদিল্লি: নববিবাহিত স্বামী রাজা রঘুবংশীর হত্যার মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী বর্তমানে মেঘালয় পুলিশে আটদিনের হেফাজতে রয়েছেন। হানিমুনে এসে বরকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন তিনি৷ পাহাড়ের সৌন্দর্যের আড়ালে লুকোনো নির্মম হত্যার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ বার উঠে আসছে জিতেন্দ্র রঘুবংশীর নাম৷ কে তিন? রাজা রঘুবংশীর হত্যার সঙ্গে তিনিও কি কোনও ভাবে জড়িত? তদন্তকারীদের আতশকাচে জিতেন্দ্রর ভূমিকা!
জিতেন্দ্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে ‘ভাড়াটে খুনি’দের টাকা দেওয়ার জন্য এই জিতেন্দ্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ব্যবহার করেছিলেন সোনম রঘুবংশী।
সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশীর বক্তব্য অনুযায়ী, জিতেন্দ্র সোনমের তুতো ভাই এবং তাঁদের পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। সেই ব্যবসাতেই কাজ করেন জিতেন্দ্র।
তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, সোনমের ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত UPI অ্যাকাউন্টটি ছিল জিতেন্দ্রের নামেই খোলা। অর্থাৎ, সোনম নিয়মিত যে অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতেন, সেটির প্রকৃত মালিকানা ছিল জিতেন্দ্রের নামে।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে-কেন সোনম নিজের নামে অ্যাকাউন্ট না খুলে তুতো ভাইয়ের নামে লেনদেন করতেন? গোবিন্দ যদিও একথা স্বীকার করেছেন, কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
হাওয়ালার যোগ? তদন্তে নজর Meghalaya Murder New Name Emerges
এই লেনদেন সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে এটা কি শুধুই পারিবারিক আর্থিক ব্যবহার, নাকি এর পেছনে অবৈধ হাওয়ালা লেনদেন বা অন্য আর্থিক অপরাধ লুকিয়ে আছে? গোবিন্দ যদিও দাবি করেছেন, এ সমস্ত জল্পনা ভিত্তিহীন। তাঁর কথায়, “ওই অ্যাকাউন্টে পারিবারিক ব্যবসার টাকাই রাখা হতো, এবং তা নিয়মিত লেনদেনে ব্যবহৃত হত।”
গ্রেফতার পাঁচ, তদন্তে দিশা দিচ্ছে টাকার পথ
মেঘালয় পুলিশ ইতিমধ্যেই সোনম রঘুবংশী, তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওহা এবং তিন জন ভাড়াটে খুনিবিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত ও আনন্দ কুর্মিকে কে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাদের আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
তদন্তকারীদের মতে, খুনের ঘটনার আর্থিক দিকটি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এবং সেই সূত্রেই জিতেন্দ্র রঘুবংশীর নাম উঠে এসেছে আলোচনায়। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে যেভাবে প্রথম পরিশোধ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট তদন্ত এখন কেবল হত্যাকাণ্ড নয়, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের আর্থিক রূপরেখা নিয়েও এগোচ্ছে।
‘প্ল্যান ছিল, পাহাড়ে খুন হবে!’
পুলিশের কেস ডায়েরি অনুযায়ী, সোনম এবং রাজ কুশওহা যৌথভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন মেঘালয়ের হানিমুন ট্রিপেই রাজাকে খুন করা হবে। মে মাসের ১১ তারিখে ইন্দোরে বিয়ে হয় সোনম (২৫) ও রাজা রঘুবংশীর (২৯)-এর। ২০ মে তাঁরা মেঘালয় পৌঁছন হানিমুনে। ২৩ মে তাঁরা সোহরার একটি হোমস্টে থেকে চেকআউট করেন। এরপরই দু’জনেই নিখোঁজ হন। প্রায় ১০ দিন পর, ২ জুন, রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ পাওয়া যায় ওয়াইসাওডং ফলস-এর কাছে এক গভীর খাদে। এরপর থেকেই শুরু হয় সোনমের খোঁজ৷
উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার, ধরা পড়ে প্রেমিক ও ভাড়াটে খুনিরাও
সোনমকে খোঁজার জন্য জোরদার অভিযান শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ৯ জুন, প্রায় ১,২০০ কিমি দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ধরা পড়েন সোনম। পুলিশ জানায়, তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহ ও তিন জন ভাড়াটে খুনিকে, যারা অভিযোগ অনুযায়ী রাজাকে হত্যায় সহায়তা করেছিল।
India: Sonam Raghuvanshi, prime suspect in husband Raja Raghuvanshi’s honeymoon murder, is in Meghalaya police custody. New revelations link Jitendra Raghuvanshi, Sonam’s cousin, to the case, as his bank account and UPI were allegedly used for payments to contract killers. Investigations probe hawala connections and financial irregularities.