Pakistan Airbase Damaged Airstrike
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের আকাশসীমা জুড়ে নতুন করে উত্তেজনা। ভারতের সীমিত আকাশ হামলায় দেশটির অন্তত একটি কৌশলগত বিমানঘাঁটি অচল হয়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে রানওয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক রাডার স্টেশন ও এয়ার ডিফেন্স ইউনিট। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—পাকিস্তানের বায়ু প্রতিরক্ষা কাঠামো কতটা প্রস্তুত?
পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের (PAF) কিছু ঘাঁটি শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, কৌশলগত অবস্থান ও পারমাণবিক কম্যান্ডের নিকটবর্তী হওয়ায় ভারতের নজরে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। চলুন এক নজরে দেখা যাক, কোন কোন ঘাঁটি পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন।
PAF বেস নূর খান (পূর্বতন চকলালা, রাওয়ালপিন্ডি)
এই ঘাঁটি পাকিস্তান বায়ুসেনার Air Mobility Command-এর কেন্দ্র, পাশাপাশি এখানেই রয়েছে PAF College Chaklala। গুরুত্বপূর্ণ VIP পরিবহন, রসদ সরবরাহ এবং কৌশলগত অপারেশন এই ঘাঁটির মূল দায়িত্ব।
এখানে মোতায়েন রয়েছে C-130 হারকিউলিস, Il-78 রিফুয়েলার ও Karakoram-8 প্রশিক্ষণ বিমান। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনার জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স ও পারমাণবিক কম্যান্ডের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের একেবারে কাছে—যার ফলে এটি দেশের সামরিক স্নায়ুকেন্দ্র হিসেবেও বিবেচিত।
মুরিদ ঘাঁটি: পাকিস্তানের ড্রোন শক্তির কেন্দ্র Pakistan Airbase Damaged Airstrike
পাকিস্তানের যুদ্ধ-ড্রোন বহরের কেন্দ্র এই ঘাঁটিতে রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তির Shahpar ও Burraq, চিনের Wing Loong II এবং তুরস্কের Bayraktar TB2-এর মত শক্তিশালী UAV। বর্তমান যুদ্ধ-প্রস্তুতির প্রেক্ষিতে, এই ঘাঁটির গুরুত্ব বহু গুণ বেড়েছে।
সোপিয়ানে PAF বেস শাহবাজ (জ্যাকোবাবাদ)
War on Terror চলাকালীন এই ঘাঁটিকে ব্যবহার করেছিল NATO ও আমেরিকা। বর্তমানে এটি F-16, JF-17 Block II এবং AW139 হেলিকপ্টার সহ বহু উন্নত প্রযুক্তির কেন্দ্র। এই ঘাঁটিতে আমেরিকান F-16 রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত বেসরকারি ঠিকাদারদের উপস্থিতির কথাও জানা যায়।
PAF বেস রহিম ইয়ার খান — ভারতীয় স্ট্রাইকে অচল রানওয়ে
পাকিস্তানের সেন্ট্রাল কম্যান্ডের অধীনে থাকা এই ঘাঁটির একমাত্র রানওয়েটি সম্প্রতি ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশাল গর্তের কারণে এই মুহূর্তে ঘাঁটি কার্যত অচল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই রানওয়েটি শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। হামলার পর এক সপ্তাহের জন্য সমস্ত উড়ান বাতিল।
PAF বেস মুশাফ (সারগোধা): কৌশলগত মেরুদণ্ড
F-16, Mirage 5, JF-17 সহ পাকিস্তানের প্রধান ফাইটার বহর এই ঘাঁটিতে অবস্থান করে। Combat Commanders’ School ও Airpower Centre of Excellence এখানেই অবস্থিত।
১৯৬৫ সালে এই ঘাঁটি ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান টার্গেট, যেখানে ১০টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল। ২০০৩ সালে নামকরণ করা হয় এয়ার চিফ মার্শাল মুশাফ আলি মির-এর নামে।
নতুন ঘাঁটি, নতুন মঞ্চ: চিন-পাক যৌথ মহড়ার কেন্দ্র
২০১৭ সালে উদ্বোধন হওয়া আধুনিকতম পাক ঘাঁটিগুলোর অন্যতম। এখানে রয়েছে JF-17, F-16 এবং Saab 2000 AEWACs, যা Erieye রাডার সিস্টেম-সহ সজ্জিত। ২০২০ সালে এই ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাক-চীন যৌথ মহড়া Exercise Shaheen IX।
ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাডার ও ডিফেন্স ইউনিট
ভারতীয় হামলায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অন্তত তিনটি রাডার সাইট এবং দুটি এয়ার ডিফেন্স ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- পাসরুর, সিয়ালকোট, চুনিয়ান, কসুর, লাহোর (ডিফেন্স ইউনিট), মালির ক্যান্টনমেন্ট, করাচি (ডিফেন্স ইউনিট)
আকাশে যে বার্তা পাঠাল ভারত
এ হামলা শুধুই সামরিক নয়—এটি ছিল কৌশলগত সংকেত। পাকিস্তানের সামরিক ও পারমাণবিক পরিকাঠামো কতটা স্পর্শকাতর, তার ইঙ্গিত দিল ভারত। অন্যদিকে, পাকিস্তানের কাছে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন: ঘাঁটির সংখ্যা বাড়ালেই কি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, নাকি প্রতিরক্ষার মানোন্নয়নই আসল চ্যালেঞ্জ?
India: Tensions escalate in Pakistan airspace after alleged limited Indian airstrike disables a strategic airbase, damaging runways and radar. Questions arise over Pakistan’s air defense readiness. Key PAF bases like Nur Khan and Murid under scrutiny for strategic importance and proximity to nuclear command.