মুম্বই: রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি ও মুম্বই। মুম্বইয়ের কিছু অংশে সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার দিল্লির মৌসম ভবন (আইএমডি) শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টির ফলে স্বস্তিতে দিল্লিবাসী। তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজধানী।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে মুম্বইয়ের বৃষ্টিপাতের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় এখনও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। রায়গড় এবং পালঘর জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শহরে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। বজ্রপাতের ঘটে রাজ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০ জন। মুম্বই, সিন্ধুদুর্গ, ধুলে, নাসিক, সম্ভাজিনগর, নন্দুরবার এবং অমরাবতীতে বেশিরভাগ বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে সকালের দিকে বৃষ্টিপাত অনেকটাই কম। কেবল হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। বন্যার কোনও আশঙ্কা নেই।
দিল্লিতেও বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের ফলে শহরের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) রাজধানীতেয তীব্র বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, বাসিন্দারা যেন বাইরে বের না হন। আইএমডি জানিয়েছে, “দিল্লিতে মাঝারি থেকে তীব্র বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের প্রভাব রয়েছে। ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।”
অন্যদিকে বুধবার পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশের চাম্বা, কাংড়া, কুল্লু, মান্ডি, শিমলা, সোলান এবং সিরমৌর জেলার বিচ্ছিন্ন স্থানে ৪০-৬০ কিলোমিটার বেগে বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সিমলা আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ও বুধবার উনা, বিলাসপুর এবং হামিরপুর জেলায় একই রকম হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঝাড়খণ্ডে ১৭-১৯ জুনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। সোমবার রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশে হলুদ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৭ জুন থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।