পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে আনুক IAEA: কাশ্মীর থেকে কড়া বার্তা রাজনাথের

rajnath on pakistan nuclear weapons শ্রীনগর: কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন—“দায়িত্বহীন এক…

rajnath on pakistan nuclear weapons

rajnath on pakistan nuclear weapons

শ্রীনগর: কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন—“দায়িত্বহীন এক দেশের হাতে কি আদৌ নিরাপদ পরমাণু অস্ত্র?” সিঁদুর-পরবর্তী উত্তপ্ত ভূ-রাজনৈতিক আবহে এই বার্তা নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের প্রতি কূটনৈতিক আগুনে ঘি ঢালল।

পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা নিয়ে প্রশ্ন

শ্রীনগরের বাদামী বাগ ক্যান্টনমেন্টে সেনাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, “পাকিস্তান শুধু কথায় নয়, বারবার কার্যত পরমাণু অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলেছে। এমন একটি রাষ্ট্রের হাতে যদি সেই অস্ত্র থাকে, তা গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলে। আমি মনে করি, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলিকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।”

এই মন্তব্যের তাৎপর্য আরও বেড়ে যায় যখন স্মরণ করা হয়, মাত্র কয়েক দিন আগেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ঘটে গিয়েছে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষ। জঙ্গিহানার জবাবে পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়েছে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’।

অপারেশন সিঁদুর: সাহসিকতার নিদর্শন rajnath on pakistan nuclear weapons

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর কথায়, “অপারেশন সিঁদুরে আমাদের সেনারা যে সাহস ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করেছে, তা ভারতবাসীর হৃদয়ে স্থায়ীভাবে অঙ্কিত থাকবে। পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসের মূল ঘাঁটিগুলিতে আমাদের হামলা শত্রুকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ভারত আর নীরব দর্শক নয়।”

তিনি বলেন, “আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নই, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কাশ্মীরে এসেছি। এখানে এসে আমি সেই জোশ ও আত্মবিশ্বাস অনুভব করছি, যা সীমান্তে আমাদের জওয়ানদের রক্তে ফুটে উঠেছে।”

পাকিস্তানের ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ আর চলবে না

রাজনাথের বার্তা কেবল সেনাদের জন্য নয়, ছিল আন্তর্জাতিক মহলের উদ্দেশেও। তিনি বলেন, “বিশ্বকে এখনই ভাবতে হবে, পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। এমন রাষ্ট্র যদি নিয়ম ভেঙে যুদ্ধ উসকে দেয়, তবে বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আজ যখন আমরা ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ পাত্তা দিই না, তখন তা গোটা বিশ্বের জন্য একটি বার্তা।”

সীমান্ত পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের কৌশল

এই প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাশ্মীর সফর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ সিং সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সামরিক প্রস্তুতি ও ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সেনা ঘাঁটি ও পাকিস্তানি হামলার ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনও করেন।

রাজনৈতিক বার্তাও স্পষ্ট

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এখন আরও কঠোর। রাজনাথ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হবে না, যদি তা সন্ত্রাস ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ইস্যুকে কেন্দ্র না করে।

রাজনাথ সিংয়ের কাশ্মীর সফর কেবল প্রতীকী নয়, বাস্তব কৌশলগত বার্তাও। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। সীমান্তের জওয়ানদের উৎসাহিত করে এবং সিঁদুর অভিযানের সাফল্য তুলে ধরে ভারতের প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি—দুই মেরুকেই শক্ত বার্তা দিলেন তিনি।

India: Rajnath Singh raises concerns about Pakistan’s nuclear weapon safety, urging IAEA attention post ‘Operation Sindoor’. He questions the security of nuclear arms in an irresponsible nation. Details on India’s stance and regional tensions.