ট্রাম্পের H-1B পদক্ষেপ কি ব্রিটেন ও ইউরোপের জন্য ‘লটারি’?

কলকাতা: H-1B ভিসায় হঠাৎ বদল এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ শর্ত কঠোর হওয়ায় ধাক্কা লেগেছে ভারতীয় প্রযুক্তি পেশাজীবীদের৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফি ধার্য হয়েছে ১ লক্ষ…

Trump H-1B visa changes

কলকাতা: H-1B ভিসায় হঠাৎ বদল এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ শর্ত কঠোর হওয়ায় ধাক্কা লেগেছে ভারতীয় প্রযুক্তি পেশাজীবীদের৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফি ধার্য হয়েছে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা)৷ পাশাপাশি লটারির বিকল্প বাতিলের প্রস্তাবও এসেছে। ভারতীয়দের প্রায় ৭১% H-1B ভিসা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে, ফলে এই পরিবর্তন তাদের ভবিষ্যৎকে অজানার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতি দ্রুত ইউরোপীয় দেশগুলো এবং চিনের জন্য একটি “ট্যালেন্ট রেস” সৃষ্টি করেছে। জার্মানি ও ব্রিটেন ভারতের দক্ষ পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে নতুন নীতি প্রণয়ন করছে, যেমন কম ভিসা ফি বা বিশেষ সুবিধা। চিনও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য নতুন K-ভিসা চালু করেছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, এসব দেশগুলি নিজেরাই সম্প্রতি অভিবাসন নীতি কঠোর করেছে।

ব্রিটেন: সুযোগ এবং সীমাবদ্ধতা

ব্রিটেনে ভারতীয়রা বিদেশী কর্মী ও ছাত্রদের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী। হঠাৎ আমেরিকার নীতি পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে ব্রিটেন গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্কফোর্স চালু করেছে৷ গবেষক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের জন্য ভিসা ফি কমানো বা বাতিলের চেষ্টাও শুরু করেছে।

কিন্তু জুনিয়র ও মধ্যম পর্যায়ের পেশাজীবীরা এখনও সুবিধার বাইরে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা দুই বছর থেকে ১৮ মাসে কমানো হয়েছে, ইংরেজি ভাষার শর্ত এবং স্থায়ী বাসস্থানের যোগ্যতার সময়কাল বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩ সালে ১৬২,৬৫৫ ভারতীয় কর্মী ভিসা পেয়েছিলেন, কিন্তু ২০২৫ সালের মধ্যে সংখ্যাটি অর্ধেকে নেমেছে।

জার্মানি: আগের মতো উন্মুক্ত নয় Trump H-1B visa changes

জার্মানিও ভারতীয় পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করলেও সম্প্রতি অভিবাসন নীতি কঠোর করেছে। দ্রুত নাগরিকত্বের সুযোগ তিন বছর থেকে পাঁচ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্যাকারম্যান জানিয়েছেন, “ভারতে কর্মরত ভারতীয়রা উচ্চ আয় করছে এবং সমাজে বড় অবদান রাখছে। তবে, দরজা আগের মতো উন্মুক্ত নয়।”

কানাডা: কঠোর নিয়ন্ত্রণ

কানাডায় কর্মী ভিসার সংখ্যা ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৫০% কমেছে। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি টেম্পরারি ফোরেন ওয়ার্কার প্রোগ্রামের সংস্কার করেছেন, যাতে এটি নির্দিষ্ট অঞ্চল ও সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়।

ট্রাম্পের পদক্ষেপের পর আন্তর্জাতিক দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়লেও, ইউরোপ বা কানাডা যদি সত্যিকারের বিকল্প হতে চায়, তাদের নিজেদের সীমাবদ্ধতাগুলোও দূর করতে হবে। শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি বা প্রোমোশনের মাধ্যমে পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব নয়; প্রয়োজন বাস্তব সমাধান এবং সহজলভ্য সুযোগ।

India: Trump’s new H-1B visa policy, with its $100,000 fee and end to the lottery, has hit Indian tech workers hard. This shift is creating a global “talent race” as nations like Germany, the UK, and China offer alternative visas to attract skilled professionals.