কলকাতা: প্রথমে ২৩ জন চাকরি প্রার্থীকে ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ, তারপর ৫৪ এবং শেষে ১১২ জনের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ এসেছিল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। এবার ১৮৭ জনকে এবার ইন্টারভিউতে ডাকা হল। আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর আগেই এতজন টেট পরীক্ষার্থীকে চাকরির নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আগামী সোমবার বা ১৯ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে হাজির থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- মমতার ৬ আত্মীয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা, ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের
টেট পরীক্ষায় পর্ষদের ভুল প্রশ্ন মামলাতেই একের পর এক চাকরির আবেদন এসেছিল। ২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় বসা প্রথমে ২৩ জন এবং পরে ৫৪ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ ছিল, প্রশ্নপত্রে বেশ কয়েকটি ভুল ছিল। সেগুলি স্বীকার করে নেয় পর্ষদও। সেই প্রেক্ষিতে ভুল প্রশ্নগুলিতে যে সব পরীক্ষার্থী উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই অনুযায়ী ওই পরীক্ষার্থীরাও নম্বর পান৷ কিন্তু নম্বর বাড়ার পরেও তাঁদের কেন নিয়োগ করা হল না, এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেইসব মামলাতেই তাঁদের চাকরির নির্দেশ দেওয়া হয়।
যদিও আগে পর্ষদ জানিয়েছিল, প্রশ্নে ভুল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, এই মুহূর্তে পর্ষদের হাতে শূন্যপদের তালিকা নেই। সেই কারণেই নিয়োগ সম্ভব নয়। যদিও আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ভুল যখন পর্ষদের, তখন তাদেরই ভুলের মাসুল দিতে হবে। শূন্যপদ না থাকলে তা তৈরি করে চাকরি দিতে হবে।