গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি: ফের CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি: ফের CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট

কলকাতা: গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ অনুসন্ধানে ডিভিশন বেঞ্চ নিযুক্ত কমিটিকে খারিজ করল আদালত৷ আজকের পর তারা আর কোনও রকন কাজ করবে না৷ 

আরও পড়ুন- গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ৪ মাস সময় মঞ্জুর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

এদিন আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে পুনরায় তদন্তভার দেওয়া হল৷ আজ রাতের মধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা আদালতের তরফে নিযুক্ত অনুসন্ধান কমিটির কাছ থেকে সমস্ত নথি সংগ্রহ করে নেবেন৷  মঙ্গলবার দুপুর ১টার পর থেকেই অনুসন্ধান কমিটির অফিসের বাইরে সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন করতে হবে৷ অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ছাড়া ওই অফিসের ভিতরে যেন আর  কেউ প্রবেশ করতে না পারে৷ 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়  গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ সেই নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ হয়৷  এর পরেই সিবিআই-এর বদলে তদন্তের ভার  বিশেষ অনুসন্ধান কমিটির হাতে তুলে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ৷  বলা হয়েছিল, গোটা ঘটনার তদন্তের পর দুই মাসের মধ্যে সিঙ্গেল বেঞ্চে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে হবে৷ কিন্তু এই দু’মাসের মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির কোনও সদস্য বা আইনজীবী রিপোর্ট পেশ করেননি৷ শুধু তাই নয়, শুনানির সময়েও তারা আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকেননি৷ ফলে এই কমিটি  আদালতকে যথেষ্ট অসম্মান করেছে বলেই এদিন উল্লেখ করেন বিচারপতি৷ সেই সঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশের পরেও কেন রিপোর্ট পেশ করা হল না? রিপোর্ট পেশের ক্ষেত্রে বাধা কী? 

হাইকোর্ট জানিয়েছে, সিবিআই-এর অধিকর্তা একটি কমিটি গঠন করবেন৷ ওই কমিটিতে ডিআইজি পদমর্যাদার  অফিসার নিযুক্ত করতে হবে৷ তাদের নেতৃত্বে থাকবেন একজন যুগ্ম অধিকর্তা৷ কারা কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের খুঁজে বার করতে হবে৷ পাশাপাশি কোথাও কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে তাও খুঁজে বার করা হবে কমিটির কাজ৷ আদালতের আজকের নির্দেশ রাজ্য সরকার ও এসএসসি’র অস্বস্তি যে আরও বাড়ল তা বলাইবাহুল্য৷ 

১৬ মার্চের মধ্যে সিবিআই-কে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেছিলেন, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা ওপর আস্থা রাখুন৷ স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বস্ত করছি। যদিও রাজ্যের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + seven =