ট্রাই-এর চাকরি ছাড়াটা ছিল চ্যালেঞ্জ, সেখান থেকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছন এই IAS অফিসার

ট্রাই-এর চাকরি ছাড়াটা ছিল চ্যালেঞ্জ, সেখান থেকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছন এই IAS অফিসার

নয়াদিল্লি:  সিভিল সার্ভিস৷ বহু ছেলেমেয়ের স্বপ্নের প্রফেশন৷ এই প্রফেশনে আসার জন্য অনেকেই বেছে নেন কোচিং সেন্টারের পথ৷ অনেকে আবার পড়াশোনা করেন নিজের মতো করে৷ কী ভাবে সফল হওয়া যায় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়? সেই হদিশই দিলেন ২০১৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার সরজানা যাদব৷ 

আরও পড়ুন- মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ

দিল্লি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ স্নাতক সরজানা তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর রিসার্চ অফিসার হিসাবে৷ ট্রাই-এর অধীনে কাজ করার সময়েই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ ২০১৮ সালে প্রথমবার পরীক্ষায় বসেন সরজনা৷ তাঁর সর্বভারতীয় ব়্যাঙ্ক ছিল ১২৬৷

ফরজানা

সরজানা জানান, তিনি এমন একটি পরিবারের সদস্য যেখানে সকলেই সরকারি অফিসার৷ তাঁর বাবা ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত৷ তাঁর মামার বাড়ির দাদু ছিলেন বিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক৷ সরজনা বলেন, আমি যে ট্রাইয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম, সেটা বাবা-মা’কে প্রথমে বলতে পারিনি৷ অনেকেই বলেছেন, এত ভালো সরকারি চাকরি ছাড়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি৷ তবে যে যাই বলুন, নীরবে শুরু হয় ২০১৯ সিভিল সার্ভিসের জন্য আমার লড়াই৷ নয়ডায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন সরজানা৷ 

farjana

সরজানা জানান, আইআইটি পরীক্ষার জন্য একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু ১ নম্বরের জন্য ওই পরীক্ষায় সুযোগ পাননি৷ এর পর তাঁর মনে হয়েছিল কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলে সকলে একটি নির্দিষ্ট পথে ভাবনা চিন্তা শুরু করে৷ সিভিল সার্ভিস ক্ষেত্রে তেমনটা হোক সেটা চাননি তিনি৷ 
কোন পদ্ধতিতে নিজেকে তৈরি করেছিলেন সরজানা? 

•    শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া- সরজানা মনে করেন সফলতা পাওয়ার জন্য সবার আগে শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন৷ দিনের শেষে যেন দেখতে পারি, আমার আজকের টার্গেট সম্পন্ন হয়েছে৷ এর জন্য সময় বেঁধে সমস্ত কাজ করতে হবে৷ 

•     বিরতি- এটা স্বল্পকালীন কোনও প্রজেক্ট নয়৷ এটা একটা ম্যারাথন প্রক্রিয়া৷ এবং এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে তুলতে হবে৷ 

•     সিলেবাস সম্পর্কে ১০০% নিশ্চিত হওয়া-  সবার আগে সিলেবাসের একটি প্রিন্টআুট বার করে নিতে হবে৷ তার পর দেখে নিতে হবে কোন বিষয়ের জন্য কী কী বইয়ের কথা বলা আছে৷ প্রস্তুতি শুরুর আগে সিলেবাস সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি৷  

•    ইউপিএসসি পিএইচডি নয়- সরজানার কথায়, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার আগে সব সময় মনে রাখতে হবে এই পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক জ্ঞানের গভীরতা পরখ করা হয়৷ যেটা পড়েছেন তার কতখানি প্রয়োগ করতে পারছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ৷ কোনও বিষয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি সময় দেওয়া উচিত নয়৷ 

•    সংবাদপত্র পড়া- প্রথম প্রথম খবরের কাগজ পড়ার জন্য দেড় ঘণ্টা ব্যয় করতেন সরজানার৷ কিন্তু প্রস্তুতি পর্বের শেষের দিকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই কাগজ পড়া শেষ হয়ে যেত তাঁর৷ কাগজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ডায়েরিতে পয়েন্ট আকারে লিখে রাখার অভ্যেস তাঁকে অনেকটাই সাহায্য করেছে৷ 

•    ডিজিটাল নোট- কোনও বিষয়ে আরও বেশি জানার জন্য মোবাইল থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ৷ 

•     উত্তর দেওয়ার ইচ্ছা- প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =