৫ দিনেই এই শহরে আক্রান্ত ২৫০-র বেশি শিশু! আতঙ্ক তৃতীয় ঢেউয়ের

৫ দিনেই এই শহরে আক্রান্ত ২৫০-র বেশি শিশু! আতঙ্ক তৃতীয় ঢেউয়ের

বেঙ্গালুরু: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে চলতি মাসের শেষের দিকেই তা আছড়ে পড়বে দেশে। যদিও এই সময় কর্ণাটক সরকার স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করছে। তবে বিগত কয়েকদিনের যা পরিসংখ্যান তাতে চক্ষুচড়কগাছ সকলের। জানা গিয়েছে অগাস্ট মাসে কমপক্ষে ৫০০ জন শিশু বেঙ্গালুরুতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। শেষ পাঁচ দিনে অর্ধেকের বেশি! সব মিলিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে হয়তো তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে দেশে।

যে তথ্য উঠে আসছে তা হল, অগাস্টের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই বেঙ্গালুরুতে আক্রান্ত হয়েছে ৫০০ জন শিশু তাদের মধ্যে শেষ পাঁচ দিনে আক্রান্ত ২৬৩ জন। অর্থাৎ পরিসংখ্যান যে খুব একটা অনুকূল অবস্থার কথা বলছে না তা পরিষ্কার। যদিও বেঙ্গালুরু মহানগরপালিকা আশ্বস্ত করে বলেছে যে বিষয়টি মোটেও উদ্বেগের নয়। তবে পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে স্বস্তি পাওয়ার কোন জায়গা থাকছে না। কারণ আক্রান্তদের মধ্যে, ০ থেকে ৯ বছরের মধ্যে রয়েছে ৮৮ জন শিশু এবং ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে রয়েছে ৩০৫ জন শিশু। তাই স্বাভাবিকভাবেই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়ে গিয়েছে কর্নাটকে, কারণ এর আগে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। যদিও বিবিএমপি আশ্বস্ত করে বলছে যে এখনই ভয় পাবার কিছু নেই। তবে আপাতত পরিসংখ্যান যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনের শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কর্নাটকে আরো বাড়বে বলেই অনুমান গবেষকদের।

আরও পড়ুন- ভারতীয় সেনার রিক্রুটমেন্ট ব়্যালি হবে সিমলায়

যদিও এর আগে এইমস প্রধান জানিয়েছিলেন যে, দেশে এত দিনে বহু শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারবে না। এই প্রেক্ষিতে তিনি ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, দেশের যে সমস্ত জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম এবং যেসব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ন্যূনতম, সেই সমস্ত এলাকায় ধাপে ধাপে স্কুল খোলা যেতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − six =