হিজাব ইস্যুতে তসলিমার মত, ‘ঘৃণার প্রতীক’ লেখিকাকে ধুয়ে দিলেন ওয়েইসি

হিজাব ইস্যুতে তসলিমার মত, ‘ঘৃণার প্রতীক’ লেখিকাকে ধুয়ে দিলেন ওয়েইসি

নয়াদিল্লি: কর্ণাটকের কলেজ থেকে হিজাব ইস্যু নিয়ে বিতর্কের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সমাজের সব ক্ষেত্র থেকে এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে। কার্যত হিজাব ইস্যুকে কেন্দ্র করে দু’ভাগ হয়েছে দেশের মানুষ। এই ইস্যুতেই সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তাঁকে কার্যত ধুয়ে দিলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বললেন, তসলিমা হলেন ঘৃণার প্রতীক।

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে মামলা ‘ভিত্তিহীন’! মামলা খারিজ করল হাই কোর্ট

লেখিকা তসলিমার বক্তব্য ছিল, হিজাব হল সতীত্বের পাহাড়াদারি করা পোশাক। যা মনে করিয়ে দেয়, মেয়েরা আসলে সম্ভোগের বস্তু। ওয়েইসিকে এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, যিনি ঘৃণার প্রতীক, তাঁর মন্তব্যের কোনও উত্তর দিতে চান না তিনি। উনি ভারতে পড়ে রয়েছেন নিজের দেশে আত্মরক্ষা করতে না পেরে। তাই তিনি এই ধরণের মানুষের কোনও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে চান না। উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বড় অংশ হিজাবের পক্ষেই রায় দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, হিজাব ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মান ও ঐতিহ্যের পোশাক। একই মত ওয়েইসিরও। কিন্তু তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেছেন বাংলাদেশের লেখিকা।

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তসলিমা স্পষ্ট বলেছিলেন, একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের পোশাক হওয়া উচিত ইউনিফর্ম৷ সেখানে ধর্মীয় ভেদাভেদ চলে না। শিক্ষকরা পড়ুয়াদের ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুল-কলেজে আসতে বারণ করছেন৷ এর মধ্যে কোনও ভুল নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো ধর্মচর্চার স্থান নয়। স্কুলে শেখানো হয় নাগরিক অধিকার, লিঙ্গসাম্য, মানবিকতা, আধুনিক মনস্কতা, বিজ্ঞান ভাবনা ইত্যাদি। তাঁর মতে, হিজাব, বোরখা, নাকাব মনে করিয়ে দেয় মেয়েরা আসলে ভ্যগ্যবস্তু ছাড়া কিছুই নয়। পুরুষদের থেকে মেয়েদের লুকিয়ে রাখা দরকার, নাহলে তারা পুরুষদের যৌন লালসার শিকার হবে৷ এই ভাবনাটাই অত্যন্ত নিন্দনীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − seven =