মুম্বই: তিনি ইংরেজির শিক্ষক। ইংরেজিতেই পড়াশোনা, ইংরেজিতে পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে অঙ্কের ক্লাস নিতে বলা হয়। একজন ইংরেজি শিক্ষকের কাছে অঙ্ক পড়ানো মুসকিলের। সেই কারণেই ওই ইংরেজির শিক্ষ অঙ্ক পড়াতে সম্মত হননি। এই ঘটনার জেরে শিক্ষকের মাইনে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলটা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তীব্র ভর্ৎসনা দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, ঔরঙ্গাবাদের তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে অঙ্কের শিক্ষকের জায়গা ফাঁকা ছিল। সেখানেই বাবু শিন্ডে নামের এক ইংরেজি শিক্ষককে বদলি করে নিয়ে আসা হয়। জেলা পরিষদের ওই স্কুলের শিক্ষককে ছাত্রদের অঙ্কের ক্লাস নেওয়ার জন্য জোর করা হয়। কিন্তু শিক্ষক সেই দাবি মানতে অস্বীকার করেন। এর জেরে মাইনে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষকের। অভিযোগ, অঙ্কের ক্লাস না নিলে হাজিরা দেওয়াও হবে না। বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হন।
অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ হন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র গুঙ্গে। তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ নিন্দনীয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন ইংরেজিতে পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক কী করে অঙ্ক পড়াবেন। এডুকেশন অফিসারকে এই বিষয়ে জবাব চেয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অঙ্ক শিক্ষককের বহু আসন শূন্য ছিল। স্কুল পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছিল। তাই ওই শিক্ষককে অঙ্কের ক্লাস নেওয়ার জন্য বলা হয়। একজন সিনিয়র শিক্ষক সব বিষয় পড়াতে পারেন। সেই কারণেই তাঁকে সিনিয়র শিক্ষককের পদমর্যাদা দিয়ে বদলি করে আনা হয়েছে। বিষয়টি নিন্দনীয় বলে আদালতের তরফে জানান হয়েছে।