হাজারের নীচেই ঘোরাফেরা করছে দেশের সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু একাধিক

হাজারের নীচেই ঘোরাফেরা করছে দেশের সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু একাধিক

নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ গত কয়েক দিনে নিম্নগামী হতে শুরু করেছিল। মাঝে একধাক্কায় প্রায় অনেকগুণ বেড়েছিল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তুলনায় বেড়েছিল অ্যাকটিভ কেসও। দীপাবলীর পর থেকে এই গ্রাফ তলানির দিকে আসছিল। আজ আরও কাবু দেশের কোভিড গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের তলায় চলে এসেছে। যদিও সতর্কতা যে অবলম্বন করতেই হবে তা বলাই বাহুল্য। কারণ ওমিক্রনের নয়া উপপ্রজাতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। আবার ‘কোভিড কাশি’ও ভাবনার কারণ অনেকের।

আরও পড়ুন- আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ বৈধ, রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৩ জন। দেশের মোট কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৪৩ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ৫৫৩ জন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশিই। আর এখনও অবধি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৫২৮ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৬২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই দেশে ২১৯ কোটি ৭৯ লক্ষের বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ১৬ হাজারের বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বাগে এলেও দেশের একাধিক রাজ্যের ডেঙ্গির চরিত্র ভয় ধরাচ্ছে নতুন করে। বাংলা তো বটেই, অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যে মশা বাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে শেষ কয়েক সপ্তাহে। বঙ্গে অতিরিক্ত সংক্রমণ হচ্ছে কলকাতায়। মৃত্যু হয়েছে গত কয়েকদিনে অনেকজনের। তাই এখন এই রোগ ঠেকাতে নয়াভাবে পরিকল্পনা করছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 14 =

দেশের সংক্রমণের প্রায় অর্ধেকই দিল্লিতে! বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও

দেশের সংক্রমণের প্রায় অর্ধেকই দিল্লিতে! বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন যাবত স্বস্তি বজায় থাকলেও আবার দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে বিরাট চিন্তা বাড়ছে। দৈনিক সংক্রমণ দিল্লিতে যে হারে বাড়ছে তাতে উদ্বেগ হওয়াই স্বাভাবিক। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে রাজধানীকে নিয়ে। তবে শুধু দিল্লি নয়, নতুন করে ফের চিন্তা বাড়ছে মহারাষ্ট্র নিয়েও। কারণ সেখানে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। মাস্কও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- ঘোষণাই সার, ট্রেনে বেডরোল কোথায়? বিশেষ নিয়ম ভারতীয় রেলে

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮৮ জন। শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১ হাজার ৪৯০ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৭৫৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৮৪। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৩ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৮ কোটি ৮৯ লক্ষের বেশি ডোজ। ভারতের করোনা কালে প্রথম থেকে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। এখন তার জায়গা নিয়েছে রাজধানী দিল্লি। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ ব্যাপক হারে বাড়ছে।

ইতিমধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ‘কোভোভ্যাক্স’ অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে এই টিকা ব্যবহার করা যাবে। এই টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে ন্যাশানাল টেকনিকাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন বা এনটিএজিআই। গত মাসে দেশের কেন্দ্রীয় ড্রাগ অথরিটির বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল ‘কোভোভ্যাক্স’কে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =

সংক্রমণ-মৃত্যু দুইই কমল দেশে, ৯৮% টপকালো সুস্থতার হার

সংক্রমণ-মৃত্যু দুইই কমল দেশে, ৯৮% টপকালো সুস্থতার হার

নয়াদিল্লি: দেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসছে, এমনটা মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে ইতিমধ্যে সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে। তবে গতকাল ফের দেশের কোভিড গ্রাফে বৃদ্ধি ঘটেছিল। কিন্তু আজ আবার সেই গ্রাফে পতন ঘটেছে। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে দেশ। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি আগের মতো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে না বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ৭ রাজ্যে ১৪ বিয়ে ভুয়ো ডাক্তারের! অবশেষে পুলিশের জালে গুণধর

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৯২০ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৯২ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, আপাতত দেশে করোনায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯২ হাজার ০৯২ জন। পাশাপাশি মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ১৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৬৬ হাজার ২৫৪ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৪১৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৬১ ডোজ। দেশের পটিজিভিটি রেট আজ কিছুটা বেড়ে হয়েছে ২.৬০ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮.১২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়েছে গত সপ্তাহ থেকে মহামারীর সংক্রমণ হ্রাসের একটি প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তাই এখন আর করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ দরকার আছে বলে মনে করছে না তারা। সেই জন্য রাজ্যের অতিরিক্ত কোভিড -১৯ নিষেধাজ্ঞাগুলি যাচাই করে তা তুলে নেওয়া হোক, এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বিমানবন্দর এবং সীমান্ত সংক্রান্ত বিধি যাতে তুলে নেওয়া হয় সেই দিকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও, বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া মানে যে কোভিড পরিস্থিতির দিকে আর নজর দিতে হবে না এমনটা নয়। প্রতিনিয়ত করোনা বিষয়ক নজরদারি চালাতে হবে বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 2 =

ওমিক্রনের দাপট! ৮ মাস পর দেশে ফের দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষ

ওমিক্রনের দাপট! ৮ মাস পর দেশে ফের দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষ

নয়াদিল্লি: আবার করোনার রক্তচক্ষু দেখা দিচ্ছে দেশে। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর আবার দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছে। নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের দাপটে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃত্যুও। গতকালের তুলনায় আজ অনেকটাই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। তাই এখনই করোনাকে যে হালকাভাবে নেওয়ার সময় আসেনি তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন- করোনার আঁতুড়ঘর! শীর্ষ আদালতের আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল

আজকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ২৫৪ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৭০৩ জনের, যা গতকাল ছিল ৪৯১। তবে ৭০৩ জন মৃতের মধ্যে ৩৪১ জনই কেরলের বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৭ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৯৬ জনের। প্রায় ৮ মাস পর ফের দৈনিক সংক্রমণ এত বেশি বেড়ে গিয়েছে ভারতে। অন্যদিকে পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে রয়েছে ১৭.৯৪ শতাংশে। আপাতত দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬০ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৮৪ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৭০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৭৯ ডোজ। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে বাড়তে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। মোট আক্রান্ত এই মুহূর্তে ৯ হাজার ৬৯২ জন।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র হুঁশিয়ারি, করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন এখন গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে৷ যারা এখনও টিকা পাননি তাদের অসুস্থতার তীব্রতা এবং মৃত্যুর আশঙ্কা বহুলাংশে বেশি। করোনার অন্যান্য রূপগুলির চেয়ে ওমিক্রনের তীব্রতা খানিকটা কম হলেও, একে মৃদু বলে ভাবা ভুল হবে৷ কারণ, ওমিক্রনে আক্রান্তদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, মৃত্যুও ঘটছে। তাই অতিমারির শেষের পথে এমন ভাবার কোনও অর্থ নেই। আরও বেশ কয়েকটি গবেষণা বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ শীর্ষে পৌঁছবে। তারপর আসতে আসতে তা নিম্নগামী হতে শুরু করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 15 =