নাবালিকাকে দিয়ে জোর করে ডিম্বানু বিক্রি, ২০ হাজার টাকা কমিশন মায়ের

নাবালিকাকে দিয়ে জোর করে ডিম্বানু বিক্রি, ২০ হাজার টাকা কমিশন মায়ের

চেন্নাই:  নাবালিকা কিশোরীর আট বার ডিম্বানুর বিক্রির অভিযোগ উঠল মা ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে। কিশোরীকে আটকে রাখা হতো বলে অভিযোগ। কিশোরী এই কাজ করতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করা হতো বলে অভিযোগ।সৎ বাবা ও মায়ের চোখ এড়িয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিশোরী এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেই আত্মীয়ের সাহায্যে পুলিশে কিশোরী নিজের মা ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ সৎ বাবা, মা ও এক মহিলাকে এই ঘটনার সঙ্গে য়ুক্ত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

 

তামিলনাড়ুর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ সুমাইয়া (৩৩), সৈয়দ আলি (৪০) ও মালতী (৩০)গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতা সুমাইয়ার প্রথম পক্ষের সন্তান বলে জানা গিয়েছে। কয়েক বছর আগে তিনি সৈয়দকে বিয়ে করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, কিশোরীর বয়সন্ধির পর থেকে তাকে ডিম্বানু দেওয়ার ওপর জোর করা হয়। কিশোরী রাজি না হলে, তাকে মারধর করা হয়। ঘরে আটকে রাখা। কিশোরী পুলিশ জানিয়েছে, মোট আটবার কিশোরী ডিম্বানু দিয়েছে। পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে, সেই ডিম্বানু রাজ্যের একটি ফার্টিলিটি সেন্টারে বিক্রি করা হতো। প্রতিবার ডিম্বানু বিক্রি করে সুমাইয়া ২০ হাজার টাকা কমিশন পেতেন। মালতী পাঁচ হাজার টাকা কমিশন পেতেন বলে জানা গিয়েছে। 

 

কিশোরী অভিযোগে জানিয়েছে, ডিম্বানু দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই জোর করতেন তাঁর মা। মারধর করতেন। ঘরে আটকে রাখতেন। কিশোরী জানিয়েছেন, তার বাবা একাধিকবার যৌন নিগ্রহ করেছেন। বেশ কয়েকমাস অত্যচারের পর কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই আত্মীয়ের সাহায্যে কিশোরী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তমিলনাড়ুর স্বাস্থ্য মন্ত্রী ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ওই বেসরকারি ফার্টিলিটি সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে বলেও তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছে। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 4 =