নয়াদিল্লি: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নূপুর শর্মা। তারপর দেশে বিরাট ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং কিছু জায়গায় ছড়ায় অশান্তি। পরে বিজেপি তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করে কিন্তু বিতর্ক থামেনি। এখন জানা গেল, নূপুর শর্মাকে ‘আত্মরক্ষার কারণে’ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে! নূপুর শর্মা নিজে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়িতে ‘কুবেরের ধন’! ১৫ কোটি নগদ উদ্ধার করলেন আয়কর কর্তারা
নূপুর যে মন্তব্য করেছিলেন তারপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানপুর। পাথর ছোঁড়া, দোকান ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ১৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে দাবি করা হয় যে নূপুর শর্মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁর জীবনহানির আশঙ্কা আছে। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী গোষ্ঠী নূপুরকে খুনের হুমকি দিয়েছে। এই কারণেই শুধুমাত্রা আত্মরক্ষার খাতিরেই তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মনে রাখা দরকার, নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন বলে রাজস্থানের উদয়পুর এবং মহারাষ্ট্রের অমরাবাতীতে দুই ব্যক্তিকে খুন পর্যন্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিজেপি নেত্রী নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি তাঁর কথা ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি তাঁর কাছে ক্ষমা চাইছেন। এমনকিও এও জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁকে খুনের হুমকি, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশজুড়ে একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। যদিও কোনওটিতেই তিনি হাজিরা দেননি।