নয়াদিল্লি: জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্যের জের। গ্রেফতার করা হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজের অধ্যাপককে। ইতিহাসের অধ্যাপক রতন লালকে গ্রেফতার করেছে উত্তর দিল্লির সাইবার থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনার শীর্ষে জ্ঞানবাপী মসজিদ। জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে নাকি ফাউন্টেন সেই নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে উসকানি মূলক মন্তব্য করে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে আসা হয় অধ্যাপক রতন লালের বিরুদ্ধে। আইনজীবী বিনীত জিন্দল অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়।
তবে অধ্যাপক নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি বলেন, ভারতে আপনি যে বিষয় নেই কথা বলবেন, তাতে কারও না কারও ভাবাবেগে আঘাত করে। এটা নতুন নয়। আমি একজন ঐতিহাসিকবিদ। পর্যালোচনা করে তবেই লিখেছি। অত্যন্ত সংযত ভাষায় লিখেছি। গত সপ্তাহে ওই অধ্যাপক ট্যুইটারে জানান, জ্ঞানবাপী নিয়ে লেখার পরেই তাঁর ছেলে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে হুমকি পাচ্ছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে, বারানসী আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, হিন্দু পক্ষের আইনজীবী রবিশঙ্কর জৈন হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই কারণে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করতে চেয়ে বারানসী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। মঙ্গলবার জ্ঞানবাপী মসজিদের শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, শিবলিঙ্গকে সুরক্ষিত করুন। কিন্তু কোনওভাবেই মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করা যাবে না। জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রার্থনার আবেদন করে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষ সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে জানা যায়।