তৃণমূল নয়, রাহুলের ‘হাত’ ধরলেন ত্রিপুরার সুদীপ

তৃণমূল নয়, রাহুলের ‘হাত’ ধরলেন ত্রিপুরার সুদীপ

নয়াদিল্লি: গতকালই বিজেপির প্রাথমিক সদস্য পদ তো ছেড়েইছিলেন, একই সঙ্গে বিধানসভার সদস্যপদ ত্যাগ করেন ত্রিপুরার নেতা সুদীপ রায় বর্মণ। একাধিকবার জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তিনি দিল ছাড়ছেন। অবশেষে সেই জল্পনা সত্যি হয়েছে। কিন্তু অনেকে যেটা ভাবছিল যে তিনি হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন, সেই ভাবনা ভুল হয়ে গেল। সুদীপ দল বদল করলেন ঠিকই, কিন্তু গেলেন কংগ্রেসে। শুধু তিনি নন, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অন্য এক নেতা আশিস কুমারও।

আরও পড়ুন- চলছে রিগিং, আক্রান্ত বিরোধী এজেন্ট, বিপ্লব দেবকে তুলোধোনা করে থানা ঘেরাও বামেদের

মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হাত শিবিরে নাম লেখান তারা দুজন। তাদের দুজনের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন খোদ সাংসদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সুদীপ জানিয়েছেন, আরও অনেক বিধায়কই দলত্যাগের জন্য তৈরি। কিন্তু তারা এই মুহূর্তে না যোগ দিয়ে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই মন্তব্যের পরেই আলোচনা শুরু হয়েছে যে, ত্রিপুরাতে বিজেপির জন্য হয়তো আরও খারাপ সময় আসছে। বলে রাখা দরকার, নিজের রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে কংগ্রেস দলেই ছিলেন সুদীপ বর্মণ। এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল বলাই যায়।

সুদীপ বর্মণ ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে আর বিজেপির টিকিটে লড়বেন না, এই কথা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। মূলত ত্রিপুরা পুরভোটের সময়েই তাঁর সঙ্গে বিজেপি দলের বিরোধ আরও তীব্র হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে বারংবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। তখন থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে তিনি বিজেপি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেবেন। কিন্তু সেই সময় এমন কিছু হয়নি। তবে এখন সেটা হওয়ারও আর কোনও জায়গা নেই কারণ ‘হাত’ ধরেছেন তিনি। ত্রিপুরার পুরভোটের সময় বিপ্লব সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, শুধুই ব্যক্তি আক্রমণ ও কুৎসা করা হচ্ছে। উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট হলে খুশি হতেন তিনি। তাঁর কথা ছিল সারা দেশ ত্রিপুরাকে অন্য ভাবে চিনতে শুরু করেছে৷ দল কাউকে হামলা করতে বলেনি, রক্ত ঝরাতে বলেনি৷ যাঁরা এই কাজ করছে তাতে বিজেপি’র বদনাম হচ্ছে৷ পরোক্ষে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীকেই একহাত নিয়েছিলেন তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =