নয়াদিল্লি: হিজাব অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়৷ কর্ণাটক হাইকোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল হিজাব মামলায়। কিন্তু হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উদুপি কলেজের মুসলিম পড়ুয়ারা। সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিক শুনানির আর্জি জানায় তারা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল আবেদনকারীরা। জরুরিভিত্তিক শুনানির আর্জি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তবে আশা এখনও রয়েছে কারণ হোলির ছুটির পর এই মামলার শুনানি হতে পারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও সেটাও এখনও চূড়ান্ত নয়।
আরও পড়ুন- শুরু হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ!
এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানান হয়, হিজাব মামলার জরুরিভিত্তিক শুনানি করা যাবে না। হোলির ছুটির পর এই সংক্রান্ত মামলার আর্জি শুনানির বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তখন যদি মনে হয় তবেই এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। গতকাল কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছিলেন এক আইনজীবী আনাস তনবীর। তাঁর কথা ছিল, খুব তাড়াতাড়ি ছাত্রীরা সুপ্রিম কোর্টে যাবে এবং পড়াশুনার পাশাপাশি হিজাব পরার অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই মেয়েরা আদালত ও সংবিধানের ওপর থেকে এখনও আশা ছাড়েনি। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে ধাক্কা খেলেও আশা যে এখনও আছে তাদের তা বলতেই হবে। হিজাব মামলা নিয়ে বিতর্ক আপাতত বহাল থাকল।
আসলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কর্ণাটক সরকার৷ প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উদুপি জেলা৷ স্কুল-কলেজগুলি রণক্ষেত্রের রূপ নেয়৷ বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়৷ এর পর সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়৷ গতকাল হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।