নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কিন্তু সেই বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এই নিয়ে টুইট করেছেন ইতিমধ্যেই। জানিয়েছেন, এই ধরণের সর্বদল বৈঠক আদতে ঢং ছাড়া কিছুই নয়। তাই তৃণমূল এই বৈঠকে যাবে না। সম্প্রতি ‘অসংসদীয়’ শব্দ ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। এবার সর্বদল বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের।
আরও পড়ুন- বিধায়কের পরে কি এবার সাংসদরাও সঙ্গ ছাড়ছেন? উদ্ধবের বৈঠকে অনুপস্থিত বহু
এদিন টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন লেখেন, ”সাধারণ মানুষের জন্য কোনও ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে দেয় না কেন্দ্রের সরকার। সংসদীয় গণতন্ত্রকে রসিকতায় পরিণত করেছে এঁরা। অধিবেশনের আগের এই সর্বদল বৈঠক তাই ঢং ছাড়া কিছুই নয়। কেন্দ্রীয় সরকার বলে যে আমরা যে কোনও ইস্যু নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত। কিন্তু শেষে গিয়ে বিরোধীদের অবজ্ঞা করা হয়।” পাশাপাশি তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিয়ে বলেছেন, এই বৈঠকটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার সুযোগ! এখানে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
এর আগে শব্দ বিতর্কেও সরকারের সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছিলেন, তিনি ‘নিষিদ্ধ’ শব্দগুলি ব্যবহার করবেন। তাতে যদি তাঁকে সাসপেন্ড করাও হয় তাতেই তাঁর কিছু এসে যায় না। কারণ তিনি মনে করছেন, সাংসদদের ওপর হাস্যকর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ‘অসংসদীয়’ হওয়া শব্দগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’, ‘গদ্দার’, ‘গিরগিট’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, এই ধরণের শব্দ আছে। অনেক ইংরাজি শব্দও বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ‘ব্লাডশেড’, ‘ক্রোকোডাইল টিয়ারস’-এর মতো শব্দ।