‘জয়পুরের মহারাজার থেকে জমি কেড়ে তাজমহল বানানো হয়েছে’, দাবি বিজেপি সংসদের

‘জয়পুরের মহারাজার থেকে জমি কেড়ে তাজমহল বানানো হয়েছে’, দাবি বিজেপি সংসদের

নয়াদিল্লি: তাজমহলের জমি আসলে জয়পুরের মহারাজার। শাহজাহান সেই জমি জয়পুরের মহারাজের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তৈরি করেছিলেন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য অনবদ্য এই ভাস্কর্য। তাজমহলকে কেন্দ্র করে যখন মাথাচাড়া দিচ্ছে একের পর এক বিতর্ক, তখন তাতেই নব সংযোজন করে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী। প্রসঙ্গত সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যশিল্পকে কেন্দ্র করে একটি মামলা রুজু হয়েছে। সেই মামলাকেই সমর্থন জানিয়েছে সম্প্রতি এই বিজেপি সাংসদ এমন মন্তব্য করেছেন বলে খবর। এর সঙ্গেই সাংসদ আরও জানান, মানুষের অধিকার রয়েছে সত্য জানার।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই  পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে যে তাজমহলের মধ্যে নাকি লুকানো রয়েছে একাধিক হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি। আর সেই দাবিতে সরব হয়ে তারা তাজমহলের ভিতরের কুড়িটি কক্ষ খোলার আবেদন জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন এলাহাবাদ আদালতে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই আজ অর্থাৎ বুধবার বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী বলেন, ‘তাজমহল নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিল এবার সেই বিতর্কে নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আসল ইতিহাস জানার অধিকার দেশের মানুষের রয়েছে। তাজমহলের জমিটি জয়পুরের এক রাজার সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি জয়পুরের রাজ পরিবারের কাছে রয়েছে। আদালত এবং গবেষকদের উচিত ঐ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই সমস্ত নথি জনসমক্ষে আনার ব্যবস্থা করা।’

ওই বিজেপি সংসদ আরও দাবি করেছেন যে, ‘ওই জমি অধিগ্রহণের পর নাকি জয়পুরের রাজাকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছিলেন শাজাহান। কিন্তু কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কিংবা যাদের এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল, তারা সকলে আদৌ ক্ষতিপূরণ নিয়েছিলেন কিনা সেটা জানা দরকার।’ তবে পুরো বিষয়টি তাঁর শোনা কথা বলেও দাবি করেছেন এই বিজেপি সংসদ। তিনি আরও জানান এই সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই বটে, কিন্তু এই জমি যে কেড়ে নিয়ে সেখানে তাজমহল তৈরি করা হয়েছিল সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।

বিজেপি সংসদের দাবী সেই সময় আজকের মত বিচার ব্যবস্থা ছিল না, ছিল না আইন-আদালত। তাই মানুষ ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেনি। কিন্তু এখন আদালত সেই সমস্ত অবহেলিত, অত্যাচারিত মানুষের সঙ্গে অনার্য ব্যবহার করবেন না বলে দাবি করেছেন ঐ সাংসদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =