গ্রাম থেকে চুরি গেল আস্ত পঞ্চায়েত ভবন, অভিযুক্ত ‘মুখিয়া’ স্বয়ং

গ্রাম থেকে চুরি গেল আস্ত পঞ্চায়েত ভবন, অভিযুক্ত ‘মুখিয়া’ স্বয়ং

পাটনা: এবার বিহারের এক মুখিয়া তথা পঞ্চায়েত প্রধানের নামে উঠল আজব এক অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু আসলে তিনি কি চুরি করেছেন সেটা জানতেই রীতিমতো চোখ কপালে সকলের। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি  বিহারের মুজফফরপুর জেলার অরুই নামের এক গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে উঠেছে এই চুরির অভিযোগ। ওই পঞ্চায়েত প্রধান নাকি রাতারাতি গায়েব করে দিয়েছেন গ্রামের আস্ত একটি পঞ্চায়েত ভবন। শুনতে অবাস্তব মনে হলেও  বাস্তবে বিহারের ওই গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা।

আসল বিষয়টা হল ওই গ্রামে পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগে। কিন্তু দেড় দশক কেটে গেলেও একটা পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়নি। অথচ দিনের পর দিন এর পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হতে উপরমহলে চাপা অস্বস্তি শুরু হয়। এর মধ্যেই খবর আসে অর্ধনির্মিত ওই ভবনটি ভেঙে বেআইনিভাবে ইট ও রাবিশ বিক্রি করে পয়সা রোজগার করছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। এই খবর প্রকাশ রাস্তায় কার্যত চাঞ্চল্য পড়ে যায় গ্রাম তো বটেই স্থানীয় ব্লকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন অরুই ব্লক পঞ্চায়েত অফিসার গিরীজেস নন্দন। তিনি দেখেন রাতারাতি ওই গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। ভবনের পুরো বাড়িটি ভেঙে সমস্ত কিছু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ঘটনাস্থলে তলব করা হয় প্রধানকে। কিভাবে এই সমস্ত ঘটনা ঘটল সে ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে খবর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শোকজ করেন ব্লক পঞ্চায়েত রাজ অফিসার।

এই বিষয়ে মুজাফ্ফরপুরের জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক সুষমা কুমারী একটি বিবৃতিতে বলেন, পঞ্চায়েত ভবনটি ভেঙে ইট-রাবিশ বিক্রি করে দেওয়ার খবর পেয়েছি। এভাবে কোনওরকম টেন্ডার ছাড়াই সরকারি ভবন ভেঙে ফেলা বেআইনি কাজ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। যেই দোষী হন, তিনি কড়া শাস্তি পাবেন।

উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই বিহারে আরও একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছিল। গত ২৯ এপ্রিল বিহারের সুলতানগঞ্জে নির্মীয়মান একটি সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গড়করি। ঠিক কি কারণে এই ব্রিজটি ভেঙে পড়ল সে ব্যাপারে একজন আইএএস অফিসারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন জোরে হাওয়া দেওয়ার কারণেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই ব্রিজ। ওই অফিসারের এমন অদ্ভুত উত্তর মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল দেশজুড়ে। সেই ঘটনার পরপরই এবার আস্ত পঞ্চায়েত ভবন চুরির ঘটনা ঘটল বিহারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + thirteen =